বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
কল্যাণময়বাবু বলেন, প্রত্যেক ঘরে দশের গুণিতকে পড়ুয়া থাকবে। প্রত্যেক প্যাকেটে থাকবে ১০টি করে প্রশ্নপত্র। ধরা যাক, একটি স্কুলের পাঁচটি ঘর রয়েছে। ফলে কোনও ঘরে ২০ তো কোথাও ৫০ জন করে বসতে পারে। আর স্কুলপিছু কোন ঘরে কত জন পরীক্ষার্থী, তার হিসেব দেখে সেই মতো প্রশ্নপত্রের প্যাকেট দেওয়া হবে। ২০ জন পরীক্ষার্থীর জন্য দু’টি প্যাকেট, ৫০ জনের পাঁচটি প্যাকেট পাঠানো হবে।
পর্ষদ সভাপতি জানান, ১০টা ৩০ মিনিটে পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রশ্নপত্র পৌঁছে যাবে। সেখান থেকে ১১টা ৩৫ মিনিটে প্রত্যেক ঘরে প্রশ্নের প্যাকেট পৌঁছে দিতে হবে। যার দায়িত্বে থাকবেন ভেন্যু-ইন-চার্জ (সরকারি আধিকারিক) এবং ভেন্যু সুপারভাইজার। বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে পড়ুয়াদের সামনে সেই প্যাকেট খোলা হবে। ১১টা ৪৫ মিনিটে যাতে সবাই সেই প্রশ্নপত্র পেয়ে যায়, তা নিশ্চিত করতে হবে। ১১টা ৪৫ মিনিটে সমস্ত প্রশ্নপত্র বিতরণ হয়ে যাওয়ার পর যদি দেখা যায় বাড়তি প্রশ্ন রয়ে গিয়েছে, তাহলে যে শেষ ক্লাসে অতিরিক্ত প্রশ্নপত্র পড়ে থাকবে, সেখানে সেগুলি সংগ্রহ করে প্যাকেটে পুরে তা সিল করে দেওয়া হবে। সেই প্যাকেট ভেন্যু-ইন-চার্জের জিম্মায় রেখে দিতে হবে। তিনি সেটি লকারে তালা-চাবি দিয়ে রেখে দেবেন। পরীক্ষা চলাকালীন পড়ুয়াদের ছাড়া কারও কাছে প্রশ্নপত্র থাকবে না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন পর্ষদ সভাপতি। তবে যে সময় বলা হচ্ছে, বড়সড় স্কুলে, যেখানে পরীক্ষার ঘরের সংখ্যা বেশি, সেখানে কি ওই সময়ের মধ্যে প্রশ্নের প্যাকেট পৌঁছনো সম্ভব হবে, প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহলে।
মোবাইল ব্যবহার নিয়েও বেশ কড়া পর্ষদ। পরীক্ষার সঙ্গে যুক্ত পাঁচজন আধিকারিকই একমাত্র মোবাইল রাখতে পারবেন। তাঁরা হলেন, সেন্টার সেক্রেটারি, অফিসার-ইন-চার্জ, ভেন্যু-ইন-চার্জ, ভেন্যু সুপারভাইজর এবং অতিরিক্ত ভেনু সুপারভাইজর। পরীক্ষার দিনগুলিতে যাতে শিক্ষক বা শিক্ষাকর্মীরা মোবাইল স্কুলে না নিয়ে আসেন, তার আর্জি জানিয়েছেন পর্ষদ সভাপতি। তবে কেউ তা আনলেও, ফোন বন্ধ করে প্রধান শিক্ষকের কাছে জমা দিয়ে দিতে হবে। তিনি সেগুলি লকারে রেখে তালা দিয়ে তার চাবি ভেন্যু-ইন-চার্জের কাছে দিয়ে দিতে হবে।
গতবছর জলপাইগুড়ির সেই স্কুল থেকে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রশ্ন ফাঁস করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। তার জেরেই এবার প্রশ্নপত্রের প্যাকেট খোলার কোনও জায়গাই রাখা হয়নি। তবে অতিরিক্ত প্রশ্নপত্র সংগ্রহ করে প্যাকেটে ভরার কথা বলা হয়েছে। অনেকেরই প্রশ্ন, সেখান থেকে প্রশ্ন ফাঁস করে দেওয়ার আশঙ্কা কিন্তু একেবারেই উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।