গুরুজনের চিকিৎসায় বহু ব্যয়। ক্রোধ দমন করা উচিত। নানাভাবে অর্থ পাওয়ার সুযোগ। সহকর্মীদের সঙ্গে ঝগড়ায় ... বিশদ
তবে সকালে রাজীব-সিবিআই মুখোমুখি হওয়া সম্পর্কে বিভিন্ন সূত্রে যা জানা গিয়েছে, তাতে এটাই স্পষ্ট যে, চিটফান্ড কেলেঙ্কারির মামলা সম্পর্কে কলকাতার পুলিস কমিশনার রাজীব কুমারের ধারালো যুক্তির সঙ্গে এঁটে উঠতে না পেরে তাঁর বয়ান নেওয়ার পর্বকে দীর্ঘায়িত করার পথেই এগচ্ছে সিবিআই। ওই সংস্থার সামনে রাজীবের যুক্তি, তাঁকে তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন করা অর্থহীন। কারণ, তদন্ত করেন নিচুতলার অফিসাররা। তার পুঙ্খানুপুঙ্খ বিশ্লেষণ প্রতিদিন করা কার্যত তাঁর পক্ষে অসম্ভব। যদিও সিবিআইয়ের পাল্টা দাবি, দু’পক্ষের আলোচনায় অনেকটাই বিব্রত বোধ করছেন রাজীব কুমার। বেশ কিছু প্রশ্নের উত্তর তাঁর মতো একজন দক্ষ অফিসারের কাছে যেভাবে আশা করা যায়, তা পাওয়া যায়নি। যে কারণে সময় লাগছে একটু বেশি। উল্লেখ্য, সারদার পর রোজভ্যালি নিয়েও তাঁর সঙ্গে কথা বলতে রবিবার সন্ধ্যায় শিলংয়ে হাজির হয়েছেন ওই মামলার তদন্তকারী অফিসার।
এদিন রাজীব কুমারের সামনে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী অফিসারদের বক্তব্য ছিল, সারদা নিয়ে প্রচুর এফআইআর হয়েছে। তার সবকটির তদন্ত ঠিকমতো হয়নি। তাঁর মতো একজন দক্ষ ও অভিজ্ঞ অফিসার থাকা সত্ত্বেও তা কী করে সম্ভব হল? এরপরই যুক্তি দিয়ে রাজীব বোঝান, সারদা কেলেঙ্কারির সময় তিনি ছিলেন আইজি পদমর্যাদার অফিসার। কী করে তাঁরা আশা করেন যে, এই পর্যায়ের একজন অফিসারের পক্ষে সমস্ত কিছু খুঁটিয়ে দেখা সম্ভব? আর যে বিধাননগর কমিশনারেটের তিনি সিপি ছিলেন, সেখানে গড়ে প্রতিদিন সমস্ত থানা মিলিয়ে ৩৫০-এর কাছাকাছি অভিযোগ জমা পড়ে। একজন সিপি’র পক্ষে সমস্ত অভিযোগ প্রতিদিন দেখভাল করা কি সম্ভব? নিচুতলার অফিসাররাই তদন্ত করেন। এরজন্য সিপি’র ঘাড়ে কি দায় চাপানো যায়? একইভাবে চিটফান্ড সংক্রান্ত মামলার তদন্তের ক্ষেত্রে প্রতিদিন সব কিছু খুঁটিয়ে দেখা তাঁর পক্ষে সম্ভব ছিল না। তাছাড়া প্রতিদিন এগুলি দেখার দায়িত্বও তাঁর ছিল না। যখন যে ত্রুটি তাঁর নজরে এসেছে, সঙ্গে সঙ্গেই তা সংশোধন করে দিয়েছেন এবং প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়েছেন তদন্তকারী অফিসারদের।