বিদ্যার জন্য স্থান পরিবর্তন হতে পারে। গবেষণামূলক কাজে সাফল্য আসবে। কর্মপ্রার্থীরা কোনও শুভ সংবাদ পেতে ... বিশদ
এনসিটিই নিয়ম অনুযায়ী, একজন অধ্যক্ষকে নিয়ে কলেজ পিছু আটজন করে শিক্ষক থাকা দরকার। সব মিলিয়ে ৬২টি কলেজে ৪৯৬ জন শিক্ষক থাকার কথা। কিন্তু স্থায়ী শিক্ষক রয়েছেন কমবেশি ১৫০ জন। বাকি পদগুলির মধ্যে বেশ কিছু খালি পদ রয়েছে। কোথাও কোথাও কলেজগুলি অস্থায়ীভাবে আংশিক সময়ের শিক্ষক বা অতিথি শিক্ষক নিয়োগ করে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। দপ্তরের আধিকারিকদের মতে, এনসিটিই পরিদর্শন করলে শিক্ষক অভাবের কারণেই কলেজের অনুমোদন বাতিল করে দিতে পারে। এর আগে ফ্যাকাল্টি না থাকার কারণে দেশের বহু কলেজকেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কিছু কলেজকে সতর্ক করে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
শূন্যপদের হার কেমন? দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, কলকাতার বেলতলা সরকারি ট্রেনিং কলেজে রয়েছেন মাত্র তিনজন স্থায়ী শিক্ষক। আবার পুরুলিয়া এবং কোচবিহারের এমন কলেজে স্থায়ী শিক্ষকের সংখ্যা যথাক্রমে চার এবং দুই। বেসরকারি কলেজগুলির অবস্থা অবশ্য আরও খারাপ বলেই মত শিক্ষাকর্তাদের। রাজ্যে ৬২৯টি কলেজের মধ্যে ৫৬৭টিই বেসরকারি। তার অধিকাংশেই প্রবল শিক্ষক ঘাটতি। দপ্তরের অভিযোগ, তারা কম টাকায় অস্থায়ীভাবে শিক্ষক নিয়োগ করে কলেজ চালাচ্ছে। যা এনসিটিই নিয়মের পরিপন্থী। দপ্তরের এক কর্তা নিয়োগ নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি। তাঁর মতে, নিয়োগের দায়িত্ব পাবলিক সার্ভিস কমিশনের। ফলে তারাই বলতে পারবে। যদিও শিক্ষকদের মতে, শূন্যপদ কত এবং কোন কলেজে কত শিক্ষক দরকার, তার তালিকা তো শিক্ষা দপ্তর থেকেই যাবে।
এনসিটিই বারেবারে শিক্ষক শিক্ষণের উপর বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছে। এমন কলেজের মানোন্নয়ন তাদের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তাই তাদের মানের সঙ্গে কোনওভাবেই আপস যাতে করা না হয়, তার জন্য বারেবারে সতর্কও করা হয়েছে। কিন্তু সেসব তোয়াক্কা না করেই চলছে এখানকার কলেজগুলি। স্থায়ী শিক্ষক নিয়োগ না করে যেভাবে অস্থায়ী শিক্ষকদের দিয়েই কাজ চালানো হচ্ছে, তা সম্পূর্ণভাবেই নিয়মবিরুদ্ধ। শিক্ষামহলের প্রশ্ন, যে শিক্ষকদের উপর নতুন প্রজন্ম তৈরি করার গুরুদায়িত্ব রয়েছে, তাঁদের শিক্ষণের মান নিয়েই এমন আপস করা হচ্ছে কেন? জানা গিয়েছে, এই প্রশিক্ষণ কলেজে শিক্ষক নিয়োগ হয়নি বিগত তিন বছর। এতদিন নিয়োগ না হওয়ার ফলে স্বভাবতই শূন্যপদ লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে বলেই মনে করা হচ্ছে।