বিদ্যার জন্য স্থান পরিবর্তন হতে পারে। গবেষণামূলক কাজে সাফল্য আসবে। কর্মপ্রার্থীরা কোনও শুভ সংবাদ পেতে ... বিশদ
কলকাতার চেতলা কৈলাস বিদ্যামন্দিরে মাধ্যমিকের সিট পড়েছে। প্রধান শিক্ষক এবং মাধ্যমিক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ মিত্র বলেন, সরস্বতী পুজো যেহেতু রবিবারে পড়েছে, তাই সোমবার স্বাভাবিকভাবেই ছুটি থাকবে। আমাদের স্কুলেও ছুটি থাকছে। তার মধ্যেই আমাদের পরীক্ষার প্রস্তুতি সারতে হবে। কাছাকাছি থাকেন এমন কয়েকজন শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীদের ডেকে নেওয়া হবে। কিন্তু কারও হাজিরা নেওয়া হবে না। এটা বাড়তি দায়িত্ব হিসেবেই পালন করবেন তাঁরা। আবার নদীয়ার একটি স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক এবং কলেজিয়াম অব অ্যাসিস্ট্যান্ট হেডমাস্টার্স অ্যান্ড হেডমিস্ট্রেসেস-এর সম্পাদক সৌদীপ্ত দাস বলেন, ছুটি থাকার কোনও প্রশ্নই নেই। এই ছুটি সরকারি কর্মচারীদের জন্য। মঙ্গলবার থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু। তার প্রস্তুতি রয়েছে। গত ৫ নভেম্বর অর্থ দপ্তর থেকে যে ছুটির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে, তাতে ১১ ফেব্রুয়ারি ছুটির দিন হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু সেটা সরকারি কর্মচারীদের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। মধ্যশিক্ষা পর্ষদের দেওয়া ছুটির তালিকায় কিন্তু বাড়তি ছুটির কথা বলা নেই। সেই তালিকা অনুযায়ী সরস্বতী পুজো ১০ ফেব্রুয়ারি। তা এমনিতেই রবিবার পড়েছে বলে মন্তব্যের জায়গাটি ফাঁকা রাখা হয়েছে। তাতে ছুটির কথা উল্লেখ করা হয়নি। তাই খতিয়ে দেখলে বিভ্রান্তির কোনও কারণ নেই। সংবাদমাধ্যমে হঠাৎ খবর প্রকাশিত হওয়ার ফলে অনেক শিক্ষকই বিভ্রান্ত হয়েছেন। তবে, এটাও ঠিক, পুজো হচ্ছে স্কুলগুলিতে। আর শিক্ষকরাই সেখানে ছুটি পাবেন না। সেই ছুটি পাবেন সরকারি কর্মচারীরা, যাঁদের সরস্বতী পুজোর সঙ্গে সরাসরি কোনও সম্পর্ক নেই। এই ব্যাপারটাও অদ্ভুত।
নারকেলডাঙার একটি স্কুলের ইংরেজির শিক্ষক এবং বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির সহ সাধারণ সম্পাদক স্বপন মণ্ডল বলেন, এটা নিয়ে এত বিভ্রান্তির কী আছে, তা বুঝতে পারছি না। সরকার কোনও ছুটি দিলে তার ম্যাচিং অর্ডার শিক্ষা দপ্তরকে বের করতে হয়। সেই কারণেই সরকারি কর্মচারীরা বহুদিন আগে থেকেই পিতৃত্বকালীন ছুটি উপভোগ করলেও শিক্ষকরা তা পাচ্ছিলেন না। কারণ, কোনও ম্যাচিং অর্ডার ছিল না। সম্প্রতি শিক্ষা দপ্তর তা প্রকাশ করায় শিক্ষকরা পিতৃত্বকালীন ছুটি পাওয়ার অধিকারী হয়েছেন। সোমবারের ছুটি নিয়ে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের ছুটির তালিকায় কিছু বলা নেই। আমাদের স্কুল তাই খোলা থাকছে। তবে, কিছু স্কুল পর্ষদের বেঁধে দেওয়া মোট ছুটির সংখ্যা এক রেখেই সোমবার ছুটি দিতে পারে। কিন্তু এটা স্কুলের ক্ষেত্রে কোনওভাবেই বাড়তি ছুটি হতে পারে না। এর জন্য অন্য কোনও ছুটি বাদ যাবে। তবে মাধ্যমিকের সিট পড়েনি, এমন স্কুল বন্ধ রাখতেই পারে।