বিদ্যার জন্য স্থান পরিবর্তন হতে পারে। গবেষণামূলক কাজে সাফল্য আসবে। কর্মপ্রার্থীরা কোনও শুভ সংবাদ পেতে ... বিশদ
রাজ্য যাত্রা সম্মেলনের যুগ্ম সম্পাদক তাপস দাস এবং রূপ ঘোষ বলেন, নতুন সরকার ক্ষমতায় আসার পর যাত্রাশিল্পের প্রতি মানুষের বাড়তি আগ্রহ দেখা দিয়েছে। এই সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় বিভিন্ন অপেরা বহু রজনী যাত্রা মঞ্চস্থ করেছে। কোনও কোনও অপেরা ৫০, কেউবা ৬০, কেউ আবার ৭০, ৮০, ৯০ রজনীও যাত্রা মঞ্চস্থ করেছে। তাঁরা বলেন, আমরা সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞ। মুখ্যমন্ত্রীর আন্তরিক প্রচেষ্টার কারণেই এটা সম্ভব হয়েছে। যাত্রাশিল্পী রুমা দাশগুপ্ত বলেন, বিগত কয়েক বছর ধরেই যাত্রা উৎসবকে ঘিরে একটা উন্মাদনা তৈরি হয়েছে। কলকাতার প্রথিতযশা অপেরা ছাড়াও জেলার বিভিন্ন দল এই উৎসবে অংশগ্রহণ করে। ২০১৪ সাল থেকে জেলার দলগুলি যাত্রা উৎসবে অংশগ্রহণ করায় এই উৎসব অন্য মাত্রা পেয়েছে।
রাজ্য যাত্রা অ্যাকাডেমির সদস্য কনক ভট্টাচার্য বলেন, যাত্রার অনুমোদন নীতি সরলীকরণ করা হয়েছে। বর্তমানে অপেরা মালিকদের যাত্রার জন্য সরকারি অনুমোদন খরচ বাবদ ১ হাজার ৯৫০ টাকা দিতে হচ্ছে। সরকার টাকার অঙ্ক বেঁধে দেওয়ার ফলে যাত্রা সংস্থাগুলি ও আয়োজকরা উপকৃত হয়েছেন।
চিৎপুর যাত্রাপাড়া সূত্রে জানা গিয়েছে, যাত্রাশিল্পে বিশেষ অবদানের জন্য ২০১৪ সালে মাখনলাল নট্টকে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে বঙ্গবিভূষণ এবং ২০১৭ সালে যাত্রাশিল্পী চপল ভাদুড়িকে বঙ্গভূষণ সম্মান প্রদান করা হয়। অ্যাকাডেমি সূত্রের খবর, প্রয়াত অভিনেতা শান্তিগোপাল পাল এবং প্রয়াত নায়ক তপনকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামাঙ্কিত ‘শান্তিগোপাল তপন কুমার’ পুরস্কার চালু হয়েছে। যার সাম্মানিক মূল্য এক লক্ষ টাকা। এছাড়াও সরকারি তরফে যাত্রাশিল্পীদের জন্য একাধিক পুরস্কার চালু করা হয়েছে।