বিদ্যার জন্য স্থান পরিবর্তন হতে পারে। গবেষণামূলক কাজে সাফল্য আসবে। কর্মপ্রার্থীরা কোনও শুভ সংবাদ পেতে ... বিশদ
ওই আইনে বলা হয়েছে, রাজ্যের যে কোনও স্থায়ী বাসিন্দা এই বাহিনীতে যোগ দিতে পারবেন। রাজ্য সরকার যখন, যেমন মনে করবে, তখন এই বাহিনীর সদস্যদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষার কাজে নিয়োগ করবে। এই বাহিনীর সদস্যদের কমান্ডান্ট থেকে কমান্ডার পদমর্যাদায় নিয়োগের ব্যবস্থা ছিল। সবাইকেই শুরুতে ‘সার্টিফিকেট অব অ্যাপয়েন্টমেন্ট’ দেওয়া হতো। অবশ্যই নির্দিষ্ট সময়কালের জন্য। ওই মেয়াদ ফুরিয়ে গেলে নতুন করে নিয়োগ করা হতো।
মদনমোহন বিশ্বাস ও অন্যান্য মামলাকারীদের আইনজীবী সুশান্ত পাল আদালতকে জানান, এঁরা প্রত্যেকেই নদীয়া ও মুর্শিদাবাদ জেলার বিভিন্ন জায়গায় অস্থায়ী এনভিএফ হিসেবে কাজ করেছেন। আইন অনুযায়ী, এমন কর্মীরা ২৫ বছর কাজ করে থাকলে এককালীন ৫০ হাজার টাকা পাবেন। যাঁদের কার্যকালের মেয়াদ ১৫ থেকে ২৫ বছর, তাঁরা পাবেন ৩০ হাজার টাকা। অভিযোগকারীদের সকলেরই কাজের মেয়াদ শেষ হয়েছে ২০১৪ থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে। কিন্তু, তাঁরা ওই প্রাপ্য অর্থ পাননি।
মামলার রায়ে বলা হয়েছে, মামলাকারীদের বয়স ৬০ বছর অতিক্রম করায় এঁরা চাকরি হারিয়েছেন। ২০০৮ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর জারি হওয়া ‘গভর্নমেন্ট অর্ডার’ অনুযায়ী এঁদের ‘এক্সগ্রাসিয়া’ প্রাপ্য। যাদের বিরুদ্ধে এই টাকা না দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছিল, তারা অভিযোগ মেনে নিয়েছে। তাই এই রায় হাতে পাওয়ার তিন মাসের মধ্যে ওই এক্সগ্রাসিয়া মিটিয়ে দিতে হবে। এঁরা প্রত্যেকেই যেহেতু ২০১৪ সাল থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে অবসর নিয়েছেন, তাই তখনই তাঁদের ওই অর্থ দিয়ে দেওয়া উচিত ছিল। তাই ক্ষতিপূরণ হিসেবে কিছু অতিরিক্ত টাকা তাঁদের প্রাপ্য। এই কারণে যেদিন কোনও একজন অবসর নিয়েছেন এবং যেদিন তিনি এক্সগ্রাসিয়া পাবেন, সেই পর্বের জন্য বার্ষিক আট শতাংশ হারে মোট অর্থের উপর রাজ্য সরকারকে সুদ দিতে হবে।
উল্লেখ্য, এই মামলার সূত্রেই জানা গিয়েছে, যে এনভিএফ কর্মীরা অস্থায়ী হিসেবে কাজ করেছেন, তাঁরা হাইকোর্টের নির্দেশ মতো এই এক্সগ্রাসিয়া পাবেন। কিন্তু, যাঁদের চাকরি পরবর্তীকালে নিয়মিত হয়েছে, তাঁরা এই টাকা না পেয়ে থাকলে, দৌড়তে হবে স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনালে।