বিদ্যার জন্য স্থান পরিবর্তন হতে পারে। গবেষণামূলক কাজে সাফল্য আসবে। কর্মপ্রার্থীরা কোনও শুভ সংবাদ পেতে ... বিশদ
সুজনবাবু বলেন, চিটফান্ড তদন্ত নিয়ে সিবিআইয়ের সাম্প্রতিক অতি সক্রিয়তা ঘিরেই মানুষের মধ্যে প্রশ্ন উঠেছে। মোদি এখন খুব বড় বড় কথা বলছেন। পাঁচ বছর উনি কি ঘুমিয়ে ছিলেন? কেন এত বছরে সিবিআই তদন্ত করে প্রতারক এবং তাদের মদতদাতাদের জেলে পুরতে পারল না? নারদ কেলেঙ্কারি নিয়ে উনি বৃহস্পতিবার সংসদে অর্থবহ ইঙ্গিত করেছেন। কেন তাহলে এই কেলেঙ্কারি নিয়ে তিন বছরে লালকৃষ্ণ আদবানির নেতৃত্বাধীন লোকসভার এথিক্স কমিটির একটি বৈঠকও ডাকা হল না, তার জবাব তাঁকেই দিতে হবে এবার। তাই এসব বাজার গরম করা কথা বলে এবার বাংলায় ভোটের বৈতরণি পার হতে পারবেন না মোদি। দিদিভাইয়ের সঙ্গে ওঁর গট আপ গেম মানুষ ধরে ফেলেছে।
সুজনবাবু এদিন মমতাকেও এক হাত নিয়েছেন। চিটফান্ত কেলেঙ্কারিতে সবর্স্বান্ত হওয়া গরিব মানুষদের জন্য গঠিত শ্যামল সেন কমিশনের রিপোর্ট প্রকাশ্যে না আনা এবং তার তহবিলের টাকা নিয়ে সুজনবাবু সরব হন। এ ব্যাপারে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের প্রশ্নকে হাতিয়ার করে তিনি বলেন, নবান্নের নির্দেশে তড়িঘড়ি কমিশন গুটিয়ে ফেলার পর থেকে আমরা বারবার সরকারের কাছে জিজ্ঞাসা করেছি, সিবিআই তদন্ত শুরু হওয়ার পর কেন এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হল? সুপ্রিম কোর্টের এ ব্যাপারে কোনও নির্দেশ না থাকা সত্ত্বেও রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্ত যথেষ্ট সন্দেহজনক এবং বিতর্কিত। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী, ৫০০ কোটি টাকার তহবিল থাকার কথা ছিল কমিশনের। কিন্তু তথ্য বলছে, সরকার কমিশনকে মাত্র ২৮৭ কোটি টাকা দিয়েছে। বিলি করা অর্থের মধ্যে ১০২ কোটি টাকার চেক ফেরতও এসেছে। সব মিলিয়ে মাত্র ১৪৯ কোটি টাকা বিলি করেছে কমিশন। তাহলে বাকি সাড়ে তিনশো কোটি টাকা কোথায় গেল, তা নিয়ে ভুক্তভোগী আমানতকারী ও এজেন্টরা বারবার প্রশ্ন তুলেছেন। এখন হাইকোর্টও সেই সব প্রশ্ন তুলেছে। এর স্পষ্ট এবং স্বচ্ছ জবাব মানুষ জানতে চায় এই প্রশাসনের কাছ থেকে। একইভাবে আমরা বিধানসভায় কমিশনের রিপোর্ট পেশ করার দাবি জানাচ্ছি বারবার।