বিদ্যার জন্য স্থান পরিবর্তন হতে পারে। গবেষণামূলক কাজে সাফল্য আসবে। কর্মপ্রার্থীরা কোনও শুভ সংবাদ পেতে ... বিশদ
গত ৫ তারিখ পোস্ট করা ওই ট্যুইট বার্তায় তথাগতবাবু বলেছেন, রাজীব কুমারকে সিবিআইয়ের প্রশ্ন করার জন্য জায়গা হিসেবে শিলংকে বেছে নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট একেবারে সঠিক বাছাইয়ের পরিচয় দিয়েছে। এখানকার আবহাওয়া এখন দারুণ। খুব শীঘ্রই রডোডেনড্রন ফুল ফুটতে শুরু করবে। আমি নিশ্চিত, সরকার সব পক্ষের জন্য আরামদায়ক জায়গারই ব্যবস্থা করবে। পুবের স্কটল্যান্ডে সকলকে স্বাগত জানাই।
তথাগতবাবুর এই ট্যুইট বার্তা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ার মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছে। অনেকেই ভাবছেন, সাদা চোখে মামুলি বার্তা হলেও এর গভীর মর্মার্থ রয়েছে। মেঘালয়ের রাজ্যপাল হয়ে পশ্চিমবঙ্গের ব্যাপারে, বিশেষ করে সর্বোচ্চ আদালতের রায় নিয়ে তাঁর মন্তব্য করা একেবারে সহজ বিষয় নয়। সবচেয়ে বড় কথা, তথাগতবাবু যখন এই ট্যুইটটি করেন, তখনও সিবিআইয়ের বাড়াবাড়ি এবং যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর উপর কেন্দ্রের মোদি সরকারের অযাচিত হস্তক্ষেপের ইস্যুতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ধর্মতলায় তাঁর প্রতিবাদী ধর্না কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছিলেন। তবে ত্রিপুরা বা মেঘালয়ের রাজ্যপালের দায়িত্বে থেকেও তথাগতবাবু এর আগেও সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেক বিতর্কিত মন্তব্য করে সংবাদের শিরোনামে এসেছেন। তবে তিনি এখনও খোলা মনেই নিজেকে আরএসএস এবং বিজেপির সমর্থক বলে স্বীকার করে নেন প্রকাশ্যে। এ ব্যাপারে তাঁর কোনও দ্বিচারিতা লক্ষ করা যায়নি কখনও। এই অবস্থায় রাজীব কুমারের শিলং যাত্রা নিয়ে তাঁর বার্তা স্বাভাবিকভাবে চর্চার বিষয় হয়ে উঠেছে। রাজ্যের শাসক দলের নেতারা মনে করছেন, এভাবে ট্যুইট করে রাজীব কুমারকে ঘুরিয়ে অপমানই করা হয়েছে। মোলায়েম ভাষার আড়ালে খোঁচা দেওয়ার উদ্দেশ্যেই তথাগতবাবুর ওই বার্তা। শুক্রবার তথাগতবাবুর সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি এখন দিল্লিতে। আর ওই ট্যুইট বার্তা নিয়ে হঠাৎ দু’দিন পর কেন হইচই শুরু হল, তা বুঝতে পারছি না। মেঘালয়ের রাজ্যপাল হিসেবে আমি স্বাভাবিক মনেই ওই বার্তা পোস্ট করেছি ।