বিদ্যার জন্য স্থান পরিবর্তন হতে পারে। গবেষণামূলক কাজে সাফল্য আসবে। কর্মপ্রার্থীরা কোনও শুভ সংবাদ পেতে ... বিশদ
পুলিস ও আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বছরের জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে কলকাতার বউবাজার থানার পুলিস নাসিরকে গ্রেপ্তার করে। তাঁর বিরুদ্ধে অনুপ্রবেশের মামলা দায়ের করা হয়। মামলার তদন্ত শেষ করে তদন্তকারী পুলিস অফিসার ওই যুবকের বিরুদ্ধে ব্যাঙ্কশাল কোর্টে চার্জশিট পেশ করেন। মামলাটি বিচারের জন্য যায় নগর দায়রা আদালতের দ্বিতীয় ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টে। সেখানে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন প্রক্রিয়া শেষ করে শুরু হয় মূল মামলার বিচারপর্ব। সাক্ষ্য শুরু হলে সরকারি আইনজীবী আদালতের কাছে অভিযোগ করেন, ‘বাংলাদেশি’ ওই যুবকের এ দেশে প্রবেশ করার ক্ষেত্রে ছিল না কোনও পাসপোর্ট, ভিসা সহ অন্যান্য নথিপত্র। পরবর্তী সময় বিচার চলাকালে সরকারি আইনজীবী নাসিরের বিরুদ্ধে অনুপ্রবেশের মামলায় সাজার পক্ষেই সওয়াল করেন।
এদিকে, মামলার শুনানির সময় ওই যুবকের আইনজীবী আদালতে বলেন, আমার মক্কেল বাংলাদেশের বাসিন্দা নন। তিনি এ দেশের বাসিন্দা। তাঁর বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগনার জীবনতলা থানার বনসরা ডাকঘর এলাকার দক্ষিণ মাখালতলা গ্রামে। তাঁর স্ত্রী ও সন্তান সন্ততিও আছে। আদালতে ওই আইনজীবী নাসিরের স্ত্রীর আধার কার্ড, সন্তানদের কলকাতা পুরসভার বার্থ সার্টিফিকেট প্রভৃতি পেশ করেন। স্ত্রীর আধার কার্ডেও স্বামী হিসেবে নাসিরের নাম উল্লেখ রয়েছে। ওই আইনজীবী আদালতে বলেন, কাজের সূত্রেই আমার মক্কেলকে গ্রামের বাড়ি থেকে এসে কলকাতায় থাকতে হয়। অথচ এমনই এক মানুষকে পুলিস বাংলাদেশি বলে চালিয়ে দিল। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা।