দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয় ও ব্যবসা থেকে অর্থাগম যোগ। প্রেমের প্রস্তাব পেতে পারেন। পুজো পাঠে মন। ... বিশদ
এদিন অমিত শাহের কথায় উঠে এসেছে রাজ্যের সরকারি কর্মচারীদের প্রসঙ্গ। বেতন কমিশন থেকে মহার্ঘভাতা নিয়ে গুচ্ছ প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন কেন্দ্রের শাসকদলের শীর্ষ নেতা। তৃণমূলের মতে, সবটাই বিভ্রান্তিকর। পার্থবাবু বলেন, রাজ্যের প্রকল্পে আর্থিক বরাদ্দ ছাঁটাই করে চলেছে বিজেপি সরকার। প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন নোটবন্দির ফলে আর্থিক উন্নতি হবে। বিদেশ থেকে কালো টাকা আনার কথা বলেছিলেন মোদি। সবই মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। তাই অমিত শাহরা অনেক কথা বললেও রাজ্যের প্রকল্পে কেন্দ্র যে আর্থিক অবরোধ তৈরি করেছে, তা নিয়ে যেমন কোনও কথা বলেননি, তেমনই নোটবন্দি বা কালো টাকার প্রসঙ্গে এড়িয়ে গিয়েছেন। মানুষ এর জবাব চাইছে। তিনি বলেন, রাজ্যের সাফল্যকে খাটো করে দেখানো হচ্ছে।
রাজ্যে সরকারি কর্মীরা মাসের এক তারিখে বেতন পান। এই নিশ্চয়তা দিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সরকারি কর্মচারী, শিক্ষকদের বেতন বৃদ্ধি হয়েছে। ব্রিগেডের মঞ্চ থেকেই ইভিএম নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধী নেতারা। নরেন্দ্র মোদি-অমিত শাহদের মতে, পরাজয়ের ভয়ে আগে থেকেই ইভিএমকে দায়ী করতে শুরু করেছে। এদিন পার্থবাবু বলেন, ইভিএম ত্রুটিমুক্ত নয়। বিভিন্ন দেশে ইভিএম অচল। তাই কারচুপির আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
এদিন অমিত শাহ নাগরিকত্ব বিল নিয়ে সরব হয়েছেন। পার্থবাবুর মতে, ধর্মীয় বিভাজনের রাজনীতি উস্কে দিতেই নাগরিকত্ব বিল এনেছে বিজেপি। ইতিমধ্যেই সংসদে তৃণমূল এর বিরোধিতা করেছে। এই প্রসঙ্গে বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, ভোটের বৈতরণী পার হতে ফের ধর্মের জিগির তুলতে চাইছে বিজেপি। সেই লক্ষ্যেই নাগরিকত্ব বিল আনা হয়েছে। সিন্ডিকেটরাজ নিয়ে অভিযোগ তুলে তৃণমূলকে এদিন আক্রমণ করেন অমিত শাহ।
রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী তথা মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, ওঁদের রাজত্বে ‘এনকাউন্টার’ হচ্ছে। পিটিয়ে মারা হচ্ছে। এরপর মোদির নাম না করে তিনি বলেন, ওঁর তো ৫৬ ইঞ্চি ছাতি। ‘রেসলার’ হওয়ার কথা, ‘বাইচান্স পলিটিশিয়ান’ হয়েছেন। অসমে গেলে আমাদের আটকানো হয়। এখানে গণতন্ত্র রয়েছে বলেই, মালদহে ভাষণ দিচ্ছেন। তাঁর আরও বক্তব্য, ভুলভাল বকছেন। বাংলার মানুষ হাসছে। বাড়ি চলে গেলে, মানুষও সব ভুলে যাবে। বাংলায় সপ্তম বেতন কমিশন কেন লাগু হচ্ছে না, সে বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অমিত শাহ। জবাবে ফিরহাদ সাহেব বলেন, আগে ওরা ১৫ লাখ টাকা করে প্রত্যেকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে দিক। প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী দু’লক্ষ চাকরি দিক। তারপর এখানে সপ্তম বেতন কমিশন নিয়ে কথা বলবে। রাজ্যে ওরা কোনওদিন ক্ষমতায় আসবে না। সেই সম্ভাবনাই নেই। মেয়র বলেন, গুজরাতে যতদিন নরেন্দ্র মোদি রাজ্য ক্ষমতায় ছিলেন, সেখানে সিন্ডিকেট ট্যাক্স লাগত। আর যেখানে অমিত শাহ-এর ‘রাজত্ব’ চলে সেখানে লাগে। ফাইভ স্টার পার্টি অফিস হয় সিন্ডিকেট ট্যাক্স দিয়ে। সরকারি প্রকল্প নিয়ে অমিতের কটাক্ষেরও জবাব দিয়েছেন তিনি। তাঁর কথায়, কেন্দ্রীয় প্রকল্পের নামে আমরা মোদির প্রচার করতে দেব না। কেন বিজেপি মার্কা ছবি থাকবে? ওঁর নাম করে দল যে রাজনীতি করছে, তাতে আপত্তি রয়েছে।