দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয় ও ব্যবসা থেকে অর্থাগম যোগ। প্রেমের প্রস্তাব পেতে পারেন। পুজো পাঠে মন। ... বিশদ
দুপুরে দেড়টা নাগাদ অস্থায়ী হেলিপ্যাডে পুরাতন মালদহের নিত্যানন্দপুরে সভা করতে আসেন অমিত শাহ। তিনি বক্তৃতার শুরু থেকেই যথারীতি তৃণমূল ও মমতার সমালোচনায় সরব হন। তিনি বলেন, এবারের লোকসভা নির্বাচন শুধু দেশের জন্যই নয়, বাংলার জন্যও ঐতিহাসিক নির্বাচন। বাংলার মাটি থেকে জুলুমের, সন্ত্রাসের, সিন্ডিকেটের, গণতন্ত্রধ্বংসকারী সরকারকে হটাতে হবে। বাংলার সিপিএমের শাসন পাল্টে দিয়ে আপনারাই মমতা সরকার এনেছিলেন। আপনারাই ফের পরিবর্তন ঘটাতে পারবেন। কিন্তু এই সরকারকে বদলে দিতে নয়, উপড়ে ফেলতে হবে। তবেই বাংলা সুজলাং সুফলাং হবে। এরপরেই তিনি বলেন, বাংলার মানুষের কাছে জোড়হাত করছি, আমাদের ঝুলিতে, নরেন্দ্র মোদি’জির ঝুলিতে ২৩টি আসন বাংলা থেকে দিন। আমরা বাংলাকে প্রকল্পে প্রকল্পে ভরিয়ে দেব। ধনধান্য বাংলা হবে। বদলে যাবে। প্রসঙ্গত, সোয়াইন ফ্লুতে আক্রান্ত হয়ে কয়েকদিন আগেও হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন অমিত। তার জেরে মালদহের সভাও পিছিয়ে যায়। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে ভিনরাজ্যে এটাই ছিল তাঁর প্রথম জনসভা। জেলার বিজেপি নেতারা জানিয়েছেন, অমিত শাহ জ্বর নিয়েই এদিন মালদহ সভায় এসেছিলেন। এখনও সুস্থ নন। তার জেরে তাঁর ঝাড়গ্রামের পরবর্তী সভা বাতিল করতে বাধ্য হয়েছে বিজেপি।
গত শনিবারের ব্রিগেডের সভা যে অমিত শাহদের নাড়িয়ে দিয়েছে এদিন তা ফের টের পাওয়া গেল। নরেন্দ্র মোদি, অরুণ জেটলি, রবিশঙ্কর প্রসাদের পর এবার অমিত শাহের কথাতেও সেই সুর। তিনি বলেন, বিরোধীদের জোট স্বার্থের জোট। ওখানে ন’জন প্রধানমন্ত্রী পদের দাবিদার ছিলেন। আমাদের একজনই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ওরা দুর্বল সরকার চায় যাতে লুটেপুটে খেতে পারে। কেন্দ্রের আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প এরাজ্যে বানচাল করতে চাইছে তৃণমূল। জনতার উদ্দেশে তাঁর জিজ্ঞাসা, আপনারা কি পাঁচ লক্ষ টাকা চান না? তাঁদের ক্ষমতায় আনলে শপথের দিনেই কর্মচারীদের সপ্তম বেতন কমিশন দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন অমিত। তাঁর মতে, মুখ্যমন্ত্রীর ভয়, এতে মোদিজি লোকপ্রিয় হয়ে যাবেন।
পার্থবাবুর অভিযোগ রাজ্যের কেন্দ্রীয় প্রকল্পে অর্থনৈতিক অবরোধ তৈরি করেছে বিজেপি। রাজ্যের কৃতিত্ব খাটো করে দেখানো হচ্ছে। নিজেদের দেওয়া নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পালনে ব্যর্থ হয়েছে মোদি সরকার। নোট বন্দি থেকে কালোটাকা উদ্ধার নিয়ে একটি কথাও শোনা গেল না অমিত শাহের মুখে। পার্থবাবুর সাফ কথা, বাংলার মানুষ তার জবাব দেবে। উন্মাদের মতো যাই বলুন না কেন, ৪২ আসনের মধ্যে এ রাজ্যে শূন্য পাবে বিজেপি।