বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা নির্বাচন দপ্তরের আধিকারিক সুব্রত বর্মন বলেন, ভিভি প্যাট নিয়ে কোনও ভোটদাতা যদি অপপ্রচার চালান তবে তার হাজতবাসের নির্দেশ নির্বাচন কমিশন দিয়েছে। নির্বাচন কমিশনের তরফে আমাদের চিঠি দিয়ে এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে।
এবছর প্রথম লোকসভা নির্বাচনে ইভিএমের সঙ্গে ভিভি প্যাট থাকবে। ভিভি প্যাট এমন একটি যন্ত্রাংশ যেখানে ভোটাররা ইভিএমের ভোট দেওয়ার পরে কাকে ভোট দিচ্ছেন তা প্রিন্টিং আকারে দেখতে পাবেন। সেই প্রিন্টিং মেশিনের ভেতরেই নথি হিসেবে গচ্ছিত থাকবে। ভোট কাউন্টিং হওয়ার সময় যদি কোনও প্রয়োজন পড়ে পুনর্গণনা করতে সংরক্ষিত তথ্য ধরে ভোট গণনা করা হবে। তাছাড়া কোনও ভাবে এই ভিভি প্যাট খোলা যাবে না বলে জেলা নির্বাচন দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে। ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসনিক ভবন, বিডিও অফিস ও গ্রামে গ্রামে ভিভি প্যাটের ব্যবহার নিয়ে প্রচার শুরু করা হয়েছে। ১২৯টি ভিভি প্যাট নিয়ে তার ব্যবহার জানিয়ে নির্বাচন দপ্তরের তরফে বিভিন্ন স্থানে মানুষের সচেতনতা বাড়ানো হচ্ছে। জানা গিয়েছে, ভিভি প্যাট নিয়ে একাধিক নিয়ম নির্বাচন কমিশনের তরফে করা হয়েছে। তার মধ্যে উল্ল্যেখযোগ্য ভিভি প্যাট নিয়ে মিথ্যা প্রচার চালানো হলে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কড়া আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এক্ষেত্রে অভিযোগকারীর হাজতবাস হবে। নির্বাচন দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, কোনও ভোটদাতা বা রাজনৈতিক দলের কেউ ইভিএমে ভোট দিয়ে ভিভি প্যাট নিয়ে কোনও অভিযোগ তোলেন, সঙ্গে সঙ্গে সেই অভিযোগ নথিভুক্ত করতে হবে সংশ্লিষ্ট বুথের প্রিসাইডিং অফিসারকে। তা জেলা নির্বাচন দপ্তরে জানাতে হবে। সেখান থেকে নির্দেশ নিয়ে প্রিসাইডিং অফিসারকে ওই অভিযোগের ভিত্তিতে একটি টেস্ট ভোটের ব্যবস্থা করতে হবে। সেখানে বুথে থাকা সমস্ত রাজনৈতিক দলের এজেন্টরা উপস্থিত থাকবেন। অভিযোগকারীকে দিয়ে একাধিকবার ভোট নেওয়া হবে। সেই ভোটগ্রহণ ক্যামেরা দিয়ে ভিডিও রেকর্ডিং করা হবে। সেখানে যদিও কোনও ভাবে ভিভি প্যাটের গোলযোগ সামনে আসে তৎক্ষণাৎ সেই বুথে আবার নতুন করে ভোট নেওয়া হবে। যদি কোনও ভাবে ভিভি প্যাটের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ প্রমাণিত না হয় সেই অভিযোগকারীকে গ্রেপ্তার করা হবে এবং তার জেল হেফাজতের ব্যবস্থা করতে হবে। ইতিমধ্যেই জেলা নির্বাচন দপ্তরের তরফে জেলা জুড়ে ভিভি প্যাটের নিয়মকানুন, তা ব্যবহারের সুবিধা, অবাধ নির্বাচন— এসব নানা কিছু নিয়ে জোর প্রচার চালানো হচ্ছে।
এদিকে এই নির্দেশ নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছে। বালুরঘাট ব্লক তৃণমূলের সভাপতি প্রবীর রায় বলেন, যদি এমন নিয়ম হয়ে থাকে তা ভারী অন্যায়। এতে সত্যি সত্যি ভিভি প্যাটে গোলযোগ দেখা গেলেও জেল খাটার ভয়ে অনেকেই অভিযোগ জানাতে যাবেন না। বিজেপি’র জেলা সভাপতি শুভেন্দু সরকার বলেন, বিষয়টি জানা নেই খোঁজ নিয়ে দেখব। কংগ্রেসের জেলা সভাপতি অঞ্জন চৌধুরীও বলেন, বিষয়টি খোঁজ নিয়ে মন্তব্য করব। আরএসপি’র জেলা সম্পাদক বিশ্বনাথ চৌধুরী বলেন, খুবই ভালো একটি উদ্যোগ নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। তারা ভালো বুঝেই এমন নিয়ম করেছে। উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই।