দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয় ও ব্যবসা থেকে অর্থাগম যোগ। প্রেমের প্রস্তাব পেতে পারেন। পুজো পাঠে মন। ... বিশদ
পদ্ধতি মেনে আইনানুগ নিয়োগ হচ্ছে না- এই অভিযোগে সোমবার আদালত বলেছিল, মামলাকারীদের ‘পার্সোনালিটি টেস্ট’ নিয়ে এবং মেধা তালিকা প্রকাশ করার পরেই যেন প্রার্থীদের নতুন চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হয়। তারপরই করা যাবে প্রার্থীদের কাউন্সেলিং। ততদিন নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত থাকবে। কিন্তু, এদিনের মামলাটির বিষয়বস্তু আলাদা। প্রণতি আগুয়ান ও অন্যান্যদের মামলাটি শুরু হয় ২০১৭ সালে। প্রধান শিক্ষক পদের প্রার্থীদের জন্য স্কুল সার্ভিস কমিশন স্নাতকোত্তর পর্যায়ের প্রাপ্ত নম্বর সংক্রান্ত নিয়ম বদল করেছিল। অবশ্যই আইন সংশোধন করে। কিন্তু সেই সংশোধনীর সাংবিধানিক বৈধতা এই মামলায় চ্যালেঞ্জ করা হয়। বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় ২০১৭ সালের জুলাই মাসে সেখানে এক অন্তর্বর্তী নির্দেশে বলেছিলেন, মামলাকারীরা প্রধান শিক্ষক/শিক্ষিকা হওয়ার জন্য আবেদন জমা করতে পারবেন। অন্যদিকে, কমিশনকে সেইসব আবেদন গ্রহণ করতে হবে। সেই সূত্রে তাঁরা ওই পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন। কিন্তু, তাঁদের ভাগ্য নির্ভর করবে মামলার ভবিষ্যতের উপর।
মামলকারীদের আইনজীবী এক্রামূল বারি এদিন আদালতকে জানান, বিচারপতি কমিশনকে এও বলেছিলেন, অন্য সকলের মতো মামলাকারীদের পরীক্ষার ফলও প্রকাশ করতে হবে। যদি তাঁরা পরীক্ষায় সফল হন, সেক্ষেত্রে তাঁদের পার্সোনালিটি টেস্ট নিতে হবে। সেই মতো কমিশনকে চূড়ান্ত সফল প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করতে হবে। অবশ্যই মেধা তালিকা সহ। কিন্তু, কমিশন মামলাকারীদের পরীক্ষার যে ফল প্রকাশ করেছে, সেখানে লেখা রয়েছে, ‘হেল্ড ডিউ টু কোর্ট প্রসেস’। অর্থাৎ, মামলার কারণে ফল আটকে রাখা হল। তিনি আদালতকে এও জানান, শুধু এই মামলাকারীরাই নন, আরও অন্তত ২০-২৫ জন প্রার্থীর প্রার্থীপদও একইভাবে ঝুলে রয়েছে। এসএসসির চেয়ারম্যান সৌমিত্র সরকার বলেন, মহামান্য আদালতের সিদ্ধান্তকে মান্যতা দিতে হবে। আবার দ্রুত নিয়োগও করতে হবে। আমরা পরবর্তী শুনানির পরেই কাউন্সেলিংয়ের দিনক্ষণ জানাতে পারব। আমরা প্যান্ডেল করে কাউন্সেলিংয়ের প্রস্তুতি নিয়ে ফেলেছিলাম। সেটা পিছিয়ে গেল। প্রসঙ্গত সোমবারই এসএসসির তরফে ঘোষণা করা হয়েছিল, মঙ্গলবার কাউন্সেলিং হবে না। তা পিছিয়ে শুক্রবার করা হয়েছিল। কিন্তু বেশ কিছু প্রার্থী এদিনই কমিশনে গিয়ে হাজির হন। সৌমিত্রবাবু বলেন, তাঁদের হাতজোড় কর বুঝিয়ে বলি। নোটিসও দেখাই। তারপর তাঁরা শান্ত হয়ে ফিরে যান।
প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালে স্নাতকোত্তরে ন্যূনতম ৪০ শতাংশ নম্বর থাকলে প্রধান শিক্ষক পদের পরীক্ষায় অংশ নেওয়া যেত। ২০১৬ সালে তা বাড়িয়ে করা হয় ৪৫ শতাংশ। আর ২০১৭ সালে তা বেড়ে হয় ৫০ শতাংশ। এই যোগ্যতা নির্ণায়ক প্রাপ্ত নম্বরের হার বৃদ্ধির সাংবিধানিক বৈধতা হাইকোর্টে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে। মামলাকারীদের প্রত্যেকেরই স্নাতকোত্তরে প্রাপ্ত নম্বর ৫০ শতাংশের কিছু কম।