দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয় ও ব্যবসা থেকে অর্থাগম যোগ। প্রেমের প্রস্তাব পেতে পারেন। পুজো পাঠে মন। ... বিশদ
পরীক্ষা পরিচালনায় সেন্টার ইন চার্জ, সেন্টার সেক্রেটারি, ভেনু সুপারভাইজার এবং কাউন্সিল মনোনীত প্রতিনিধি থাকতেন। আপৎকালীন পরিস্থিতিতে কাউন্সিলের সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য চারজনকেই মোবাইল রাখার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু গত বছর মাধ্যমিকে পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছনোর আগেই যেভাবে প্রশ্নফাঁস হয়ে গিয়েছিল এবং উচ্চ মাধ্যমিকেও প্রশ্নফাঁসের ঘটনা ঘটেছিল, তা থেকে শিক্ষা নিয়ে কোনও রকম ঝুঁকি নিতে চাইছে না সংসদ। নিজেদের মনোনীত প্রতিনিধিদেরই মোবাইল রাখার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি নিজেদের লোকজনের উপরই ভরসা রাখতে পারছেন না সংসদ কর্তারা?
উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ হতেই মোতায়েন করা পুলিস চলে যেত। কিন্তু এবার সংসদের তরফে দেওয়া নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, উচ্চ মাধ্যমিকের পর একাদশ শ্রেণীর পরীক্ষা শেষ হলে পুলিস স্কুল থেকে চলে যেতে পারবে। পরীক্ষার দিনগুলিতে সকাল সাড়ে ৭টার মধ্যে স্কুলে পৌঁছে যেতে হবে পুলিসকর্মীদের। স্কুল শিক্ষকরা বলেন, সাধারণত প্রশ্নপত্র পৌঁছনো এবং পরে উত্তরপত্র সংসদে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্বে একদল পুলিস থাকে। আরেক দল থাকে স্কুলে নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য। ফলে এবার পরীক্ষার খাতা নিয়ে চলে যাবে এক দল। অপর দলটিকে একাদশ পরীক্ষা শেষ হওয়া পর্যন্ত থাকতেই হবে। কোনও রকম গোলমাল বা অপ্রীতিকর পরিস্থিতি যাতে তৈরি না হয়, তার জন্যই এই বাড়তি সতর্কতা নেওয়া হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ কিছু ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে, স্কুলের পড়ুয়ারা পরীক্ষার প্রশ্ন বা অন্য কোনও কারণে অখুশি হলে, সেখানে তাণ্ডব চালিয়েছে। ভাঙচুর থেকে সম্পত্তি নষ্ট—সবই হয়েছে। সেরকম পরিস্থিতি যাতে তৈরি না হয়, তার জন্য সতর্কতামূলক ব্যবস্থা রাখতে চাইছে সংসদ।