বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ
মান্ধাতার আমলের ভাড়া চালু রয়েছে মধ্য কলকাতার কিড স্ট্রিটের এমএলএ হস্টেলে। প্রত্যেক বিধায়কের জন্য নির্দিষ্ট ফ্ল্যাট রয়েছে। সেখানে সংশ্লিষ্ট এমএলএ’র পরিচিতরা এসেও থাকতে পারেন। প্রতি ফ্ল্যাটে দু’টি করে অতিরিক্ত বিছানা রাখার সংস্থান রয়েছে। বিধায়কের পরিবার ছাড়া বাইরের কেউ সেখানে থাকলে এতদিন পর্যন্ত বেড প্রতি ৩০ টাকা ভাড়া নেওয়া হতো। অধ্যক্ষের দপ্তরে লিখিত আবেদনের ভিত্তিতে অনুমোদন সাপেক্ষে এই ভাড়া মেলে। এদিনের বৈঠকে এই ভাড়া বাড়ানোর প্রস্তাব এলে সরকারপক্ষের সদস্যরা তাতে সায় দেন। বেড প্রতি ভাড়া একশো টাকা করার প্রস্তাব দেওয়া হয়। তখনই বেঁকে বসেন বিরোধী সদস্যরা। কংগ্রেসের মুখ্য সচেতক মনোজ চক্রবর্তী বলেন, এমনিতেই দেশের মধ্যে বাংলার বিধায়করা সব থেকে কম বেতন ও ভাতা পেয়ে থাকেন। তাঁদের এলাকা থেকে কেউ কোনও কাজে এলে এমএলএ হস্টেলে থাকেন। তাঁদের থাকার খরচ বিধায়করাই বহন করেন। এভাবে ভাড়া বাড়ালে বস্তুত সেই ভাতা বা বেতনের উপরেই পরোক্ষে কোপ পড়বে। তাই এই প্রস্তাব খারিজের দাবি জানিয়েছি। যদিও এই বিষয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। সূত্রের মতে, শুধু বিধায়কদের ঘরে থাকাই নয়, বিধানসভার সদস্যদের সুপারিশে বিধায়ক আবাসে যে অতিথিশালা রয়েছে, সেখানেও ভাড়া নামমাত্র। সেই ভাড়াও পুনর্বিন্যাস করার কথা বিবেচনা করা হচ্ছে। এদিন বিধায়ক ভাতা বাড়ানোর প্রসঙ্গ ওঠে। মনোজবাবু বলেন, অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় জানানিয়েছেন, সামগ্রিকভাবে ভাতা না বাড়লেও বিধানসভা অধিবেশন চলাকালীন ভাতার পরিমাণ যাতে বৃদ্ধি করা যায়, সেই বিষয়ে তিনি অর্থ দপ্তরের সঙ্গে আলোচনা করবেন।