দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয় ও ব্যবসা থেকে অর্থাগম যোগ। প্রেমের প্রস্তাব পেতে পারেন। পুজো পাঠে মন। ... বিশদ
ফি বছর উত্তরবঙ্গ উৎসবের উদ্বোধন মুখ্যমন্ত্রীর আবশ্যিক কর্মসূচির অগ্রাধিকারের তালিকায় থাকে। ক্ষমতায় আসার পর প্রত্যেক বছর এর উদ্বোধন করেছেন তিনি। সাড়ে তিনটেয় শুরু হওয়ার কথা ছিল উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। উত্তরবঙ্গের মানুষের প্রাণের এই উৎসবে শামিল হওয়ার জন্য কলকাতা বিমানবন্দর থেকে তাঁর উড়ান ধরার কথা ছিল বেলা ১টা ৫০ মিনিটে। এদিন আচমকাই সংশ্লিষ্ট বিমান সংস্থা এসএমএস করে যাত্রীদের জানিয়ে দেয়, উড়ানে বিলম্ব হবে। কলকাতা থেকে উড়বে ৩টে ৪০ মিনিটে। দু’ঘণ্টা দেরিতে। বিমানবন্দরে পৌঁছে ঘনিষ্ঠমহলে বিষয়টি নিয়ে উষ্মাপ্রকাশ করেন মমতা। বিকেল সওয়া পাঁচটায় অনুষ্ঠান মঞ্চে সেই উষ্মা ক্ষোভের আকার নেয় মুখ্যমন্ত্রীর গলায়। বলেন, আমি যখনই যাই, বার বার এমন কেন হয় বুঝি না। আপনাদের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। আমি ১টার আগে বিমানবন্দরে পৌঁছে গিয়েছিলাম। তবে এই দেরিকে খুব একটা পাত্তা দেয়নি জনতা।
১২ মিনিটের বক্তৃতায় নাম না করে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন গেরুয়া শিবির পরিচালিত কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে। বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ওরা (কেন্দ্র) কাজ করে না, শুধু দলবাজি করে। এই তো জলপাইগুড়িতে হাইকোর্টের সার্কিট বেঞ্চ। সব কাজ শেষ হয়ে গেল। কিন্তু এখনও সেটা চালু করছে না। তাঁর কেন্দ্রবিরোধী জেহাদ যে এখন কোন পর্যায়ে পৌঁছেছে, তা বক্তৃতার পরের অংশেই স্পষ্ট করে দিলেন মমতা। বেশ ক্ষুব্ধ গলায় বললেন, দার্জিলিং নিয়ে অনেক ষড়যন্ত্র হয়েছে। আমরা সেই সমস্যা মিটিয়ে ফেলেছি। বাকি যা সমস্যা আছে, তা আমরাই মেটাব- প্রত্যয়ের সুর মমতার গলায়। এবার গলার স্বর সপ্তমে তুলে মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা, দিল্লির কাছে হাত পাততে যাব না। আমাদের কাছে যা আছে, তাই দিয়েই সমস্যা মেটাব। উত্তরবঙ্গের প্রতি বঞ্চনার কথা বাম আমলে প্রায়ই উঠত। কিন্তু তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পর উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গে উন্নয়নের সমতা আনতে উদ্যোগী হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই অঙ্গীকার আবার তাঁর গলায় শোনা গেল। দক্ষিণবঙ্গ আমার ভাই, উত্তরবঙ্গ আমার বোন। ভাইবোনে রাখীবন্ধনের মাধ্যমেই উন্নয়ন এগিয়ে নিয়ে যাব। এদিন রোহিনী, কার্শিয়াং, সিপাইধোরা, সোনাদা, ঘুম হয়ে দার্জিলিং পর্যন্ত তীব্র ঠান্ডার মধ্যে মমতাকে স্বাগত জানাতে দাঁড়িয়ে ছিলেন মানুষ।
ব্রিগেড থেকে ইভিএমের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা। সেই বিতর্ক আরও উস্কে দিয়ে মমতা এদিনই ট্যুইটে জানিয়েছেন, ইস্যুটি নির্বাচন কমিশনের কাছে তোলা হবে। প্রতিটি ভোটই মূল্যবান। সম্মিলিতভাবে গণতন্ত্র রক্ষার ডাক দিয়েছেন তিনি।