দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয় ও ব্যবসা থেকে অর্থাগম যোগ। প্রেমের প্রস্তাব পেতে পারেন। পুজো পাঠে মন। ... বিশদ
রাজনৈতিক মহলের ব্যাখ্যা, রথযাত্রা নিয়ে হাইকোর্ট-সুপ্রিম কোর্টে লাগাতার পরাজয়ে বিজেপি কর্মী-নেতাদের মনোবল একেবার তলানিতে এসে ঠেকেছে। তারপর গত ১৯ জানুয়ারি ব্রিগেডে জাতীয় স্তরের তাবড় নেতাদের এক মঞ্চে হাজির করে বিজেপি বিরোধিতার সুর সপ্তমে চড়িয়েছেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গোদের উপর বিষফোঁড়ার মতো দলের সর্বভারতীয় সভাপতির প্রস্তাবিত বঙ্গ সফর গত একমাসে প্রায় পাঁচবার বাতিল হয়েছে। আজ অর্থাৎ মঙ্গলবার থেকে টানা তিনদিন এ রাজ্যে পাঁচটি জায়গায় সভা করার কথা ছিল অমিত শাহের। সেই সূচিও পরিবর্তিত হয়েছে। মঙ্গলবার মালদহে সভা করলেও পরদিন অর্থাৎ বুধবার তিনি কেবল ঝাড়গ্রামে রাজনৈতিক সমাবেশে যোগ দেবেন। সেই দিনই অনুব্রত মণ্ডলের ‘গড়’ বলে পরিচিত সিউড়ির সভা বাতিল করা হয়েছে। একই সঙ্গে বৃহস্পতিবার জয়নগর ও কৃষ্ণনগরে অমিত শাহের বদলে সভা করতে আসছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। দেশজুড়ে এই মুহূর্তে বিজেপির সবচেয়ে বড় মুখ মোদি-শাহ। সেই জুটির সভা ঘিরে বারবার অনিশ্চয়তা তৈরি হওয়ায় রীতিমতো বিরক্ত দলের নিচুতলার কর্মীরা। লোকসভা ভোটের আগে প্রধানমন্ত্রীর ব্রিগেড সমাবেশ বাতিলের সিদ্ধান্ত তাতে ঘৃতাহুতির কাজ করছে।
যদিও দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক কৈলাস বিজয়বর্গীয় এদিন বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ব্রিগেড সমাবেশ হবেই। সেখানে আমরা তৃণমূলের চেয়ে দ্বিগুণ লোক আনব। কিন্তু এখন বিশেষ কারণে তা স্থগিত করা হয়েছে। নয়া পরিকল্পনা অনুসারে রাজ্যের ৪২টি লোকসভা কেন্দ্রেই হেভিওয়েট কেন্দ্রীয় নেতাদের নিয়ে আসা হবে। কৈলাসের দাবি, ওই সভাগুলিতে রাজনাথ সিং, নীতিন গাদকারি, স্মৃতি ইরানি, যোগী আদিত্যনাথ, বিপ্লব দেব, দেবেন্দ্র ফড়নবিশের মতো তারকাদের নিয়ে আসা হবে। সূত্রের দাবি, সোমবার সন্ধ্যায় রাজ্য অফিসে এক জরুরি বৈঠকে স্থির হয়েছে, নরেন্দ্র মোদিকে দিয়ে চারটি এবং অমিত শাহকে দিয়ে চারটি মোট আটটি লোকসভা কেন্দ্রে সভা করা হবে। বাকি ৩৪টি জায়গায় কেন্দ্রীয় নেতা কিংবা জনপ্রিয় মুখ্যমন্ত্রীদের হাজির করা হবে। ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে পরীক্ষার জন্য মাইকবিধি লাগু হচ্ছে। এর বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য বিজেপি। দলের এক অন্যতম শীর্ষ নেতার কথায়, দেশের কোথাও মাধ্যমিক-উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার এতদিন আগে থেকে মাইক ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা নেই। আদালতের অনুমতি মিললে ফেব্রুয়ারির শেষ সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ব্রিগেডে নিয়ে আসার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।