দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয় ও ব্যবসা থেকে অর্থাগম যোগ। প্রেমের প্রস্তাব পেতে পারেন। পুজো পাঠে মন। ... বিশদ
শিক্ষাবন্ধুরা মূলত সার্কেলস্তরে স্কুল ইন্সপেক্টরের অফিসে কাজ করে থাকেন। কাজের অনেকটা দায়িত্ব থাকে তাঁদের উপরই। যেমন স্কুল থেকে তথ্য নেওয়া, স্কুলব্যাগ, জুতো ইত্যাদি বিতরণের মতো কাজ করে থাকেন তাঁরা। এককথায় বলতে গেলে স্কুলগুলির সঙ্গে সমন্বয় রাখাই হচ্ছে এঁদের প্রধান কাজ। অন্যদিকে, ম্যানেজমেন্ট কর্মীরাও ছড়িয়ে রয়েছেন বিভিন্ন জায়গায়। এঁরা স্টেট প্রজেক্ট ডিরেক্টর (এসপিডি), জেলার অফিস সহ একাধিক জায়গায় কর্মরত। গোটা রাজ্যে শিক্ষাবন্ধুর সংখ্যা ৩৯৩২ এবং ম্যানেজমেন্ট স্টাফের সংখ্যা ২৪৬২। বেতন বৃদ্ধির ফলে উপকৃত হবেন প্রায় সাড়ে ছ’হাজার কর্মী। শিক্ষামন্ত্রী এদিন বলেন, সমহারে বেতন বৃদ্ধি করা হয়েছে। এর আগে আমরা স্পেশাল এডুকেটর, পার্শ্বশিক্ষক, চুক্তিভিত্তিক শিক্ষকদের বেতন বাড়িয়েছি। যদিও শিক্ষাকর্মীদের একাংশের মতে, ৪০ শতাংশ বাড়ানো হলেও, তার সঙ্গে সর্বভারতীয় ক্ষেত্রের কোনও সাযুজ্য নেই। এটা একপ্রকার বঞ্চনা ছাড়া কিছু নয়।
শিক্ষাবন্ধুদের থোক টাকা দেওয়া হলেও, ম্যানেজমেন্ট কর্মীদের সবার বেতন একরকম নয়। কারও বেশি তো কারও কম। মন্ত্রী বলেন, এই বিভাগে ন্যূনতম ৮১৯০ টাকা এবং সর্বোচ্চ ৩০ হাজার ৮৪১ টাকা বেতন পান কর্মীরা। সবার বেতনই ৪০ শতাংশ করে বাড়ানো হয়েছে। শিক্ষা দপ্তর সূত্রে খবর, এই কর্মীদের বেতন বৃদ্ধি নিয়ে বহুদিন ধরেই আবেদন আসছিল। বহু স্মারকলিপিও জমা পড়ে। শেষ পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী সেই দাবি মেনে নিয়ে এই সাড়ে ছ’হাজার কর্মীর বেতন বাড়াতে সায় দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, প্রথমে চাষিদের কৃষকবন্ধু প্রকল্প চালু করে মাস্টারস্ট্রোক দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তারপর কলেজ অধ্যাপক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের অবসরের বয়স বাড়িয়ে দেওয়ার কথা জানান তিনি। এবার সেই তালিকায় নয়া সংযোজন সর্বশিক্ষা মিশনের কর্মীদের বেতন বৃদ্ধি।
এদিকে, কর্মরত শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের পরীক্ষা নিয়ে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ওপেন স্কুল অর্থাৎ এনআইওএস-এর বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন শিক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেন, এনআইওএসের পরীক্ষার প্রশ্ন রাজ্যের একটি সেন্টারে ফাঁস হয়ে গিয়েছিল বলে ওই কেন্দ্রীয় সংস্থা এখানকারই পরীক্ষা বাতিল করে দিয়েছে। অথচ অন্যান্য রাজ্যে তা বাতিল করা হয়নি। নতুন সূচি অনুযায়ী যে পরীক্ষার দিন ঠিক করেছে তারা, তাতে এক দিনেই দু’টি পেপারের পরীক্ষা দিতে হবে। কিন্তু বহু কর্মরত প্রবীণ শিক্ষকের পক্ষে ছ’ঘণ্টা ধরে পরীক্ষা দেওয়া সম্ভব হবে না। তাই এদিন প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সঙ্গে কথা বলেছি। শিক্ষা দপ্তরের সচিব এনআইওএসের কাছে চিঠি দিয়ে এই পরীক্ষার সময় পরিবর্তন করার আর্জি জানাবেন। এছাড়া অধ্যাপক এবং উপাচার্যদের অবসরের বয়স সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি এখনই হবে না বলে খবর। প্রথমে মন্ত্রিসভায় আলোচনা হবে। বিল পাশ করতে হবে কি না, সেব্যাপারে আইনজ্ঞদের পরামর্শ নেবে সরকার।