গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
মুখ্যমন্ত্রী কিছুদিন আগেই নির্দেশ দেন, সরকারি জায়গায় কৃষকরা নিজে গিয়ে যাতে ধান বিক্রি করতে পারেন, তার ব্যবস্থা করতে হবে। এজন্য অতিরিক্ত কেন্দ্রও খোলা হচ্ছে। সেই মতো একাধিক জেলায় ধান কেনার জন্য কেন্দ্র খোলে জেলা প্রশাসন। ফড়েদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি। এরপরই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সমস্ত জেলার কাছে নির্দেশ যায় ডিজির। পাশাপাশি ইবিকেও বিষয়টি দেখতে বলা হয়। যাতে কোনওভাবেই ফড়েদের দাপট না থাকে।
এরপরই ইবির অফিসাররা এই নিয়ে খোঁজখবর করতে শুরু করেন। তখনই তাঁদের নজরে আসে, ছক বদলে ফেলে ফড়েরা এখনও অন্য কায়দায় কারবার চালাচ্ছে। জানা যায়, এরাজ্যের কৃষকদের কাছ থেকে অল্প দামে ধান কিনে সরকার নির্ধারিত কেন্দ্রে গিয়ে তারা তা বেশি দামে বিক্রি করতে পারছে না। কারণ কোনও কৃষকই তাদের আর ধান দিচ্ছেন না। সরকারের উদ্যোগের কারণেই কৃষকরা সরাসরি গিয়ে ন্যায্য মূল্যে ধান বিক্রি করতে পারছেন। সেই কারণে পাশের রাজ্য বিহার থেকে ধান কিনে আনছে ফড়েরা। সেখানকার কৃষকদের কাছ থেকে অত্যন্ত কম দামে ধান কিনছে তারা। এরপর প্রশাসন ও পুলিসের নজরদারি এড়াতে তারা ব্যবহার করছে কৃষকদেরই একাংশকে। সেই কৃষকদের দিয়েই বিহারের এই ধান সরকার নির্ধারিত কেন্দ্রে পাঠানো হচ্ছে। তাঁদের দিয়ে বিক্রি করানো হচ্ছে এই ধান। পেমেন্টের টাকা কৃষকদের অ্যাকাউন্টে জমা পড়ছে। সেই টাকা পরে তুলে নিচ্ছে ফড়েরাই। এমনকী যে সমস্ত কৃষকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ছিল না, তাঁদের অ্যাকাউন্ট ফড়েরাই তৈরি করে দিয়েছে। এবার সেখানে টাকা জমা পড়া মাত্র তা ফড়েরা নিয়ে নিচ্ছে। এভাবেই তারা লক্ষ লক্ষ টাকা রোজগার করছে।
এই খবর আসার পরই তৎপর হয়ে ওঠেন জেলায় থাকা ইবির অফিসাররা। তাঁরা ঠিক করেন, বিহার থেকে ফড়েদের ধান নিয়ে আসা আটকাতেই হবে। এরপরই দুই বঙ্গের যে সমস্ত জেলা বিহারের লাগোয়া বা সীমানায় রয়েছে, সেখানে তল্লাশি অভিযান শুরু হয়। কারা কারা এই কাজ করছে, তাদের চিহ্নিত করা হয়। সূত্রের খবর, ধরপাকড়ের জেরে বিহার থেকে এই ধান আসা বন্ধ হয়ে গিয়েছে অনেকটাই। পাশাপাশি যে সমস্ত কৃষকদের অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে তারা কম দামে ধান কিনে সরকারি কেন্দ্রে বিক্রি করেছে, সেগুলিকেও চিহ্নিত করার চেষ্টা হচ্ছে। যাতে তার ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হয়।