বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
সূত্রের দাবি, ১৯৭৮ সালের পশ্চিমবঙ্গ শ্রমিক কল্যাণ পর্যদ আইন অনুসারে, এ রাজ্যে অবস্থিত যাবতীয় কারখানা, বাণিজ্যিক সংস্থা, মোটর ট্রান্সপোর্ট সংস্থা, সিনেমা হল, বিনোদন সংস্থাগুলির মালিকদের বছরে দু’বার চাঁদা দিতে হয়। ১৫ জানুয়ারি এবং ১৫ জুলাই বিধিবদ্ধ সেই চাঁদা জমা দেওয়া আবশ্যক। আগে এই চাঁদার পরিমাণ ছিল তিন টাকা এবং ছয় টাকা। ২০১৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর থেকে তার পরিমাণ বৃদ্ধি করা হয়েছে। যদিও জানুয়ারি মাসের দেয় চাঁদার হার একই রাখা হয়েছে। তবে জুলাইয়ের চাঁদার পরিমাণ ছ’ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৫ টাকা করা হয়েছে। সম্প্রতি পর্যদের তরফে নির্দেশিকা জারি করে জানানো হয়েছে, চলতি মাসের ৩১ জানুয়ারির মধ্যে সংস্থার মালিকদের দেয় চাঁদা মিটিয়ে দিতে হবে। এ প্রসঙ্গে শ্রম দপ্তরের এক কর্তা বলেন, রাজ্যের বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত কর্মীদের সার্বিক কল্যাণে পর্যদ একাধিক ইতিবাচক পদক্ষেপ করেছে। এবার তাঁদের ছেলেমেয়েদের উচ্চশিক্ষার জন্য বিশেষ স্কলারশিপ দেওয়া হবে। ফলে ওই পরিবারের মেধাবী পড়ুয়ারা স্রেফ অর্থের অভাবে উচ্চশিক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হবে না বলেই আশাবাদী ওই কর্তা। প্রায়ই অভিযোগ ওঠে, বেসরকারি সংস্থাগুলিতে দীর্ঘদিন ধরে কর্মীদের বেতন আটকে রাখা হয়। সেই অব্যবস্থার অবসানে পর্যদ বিবিধ কর্মসূচি নিয়েছে। এছাড়া বিজ্ঞপ্তি জারি করে বলা হয়েছে, তিন বছর বা তার বেশি সময় ধরে শ্রমিক কর্মচারীদের প্রাপ্য অর্থ বিধিমতো না দেওয়া দণ্ডনীয় অপরাধ। এক্ষেত্রে কারাবাস এবং আর্থিক জরিমানা, উভয় সংস্থানই থাকছে।