পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর, পরীক্ষার খাতা কেন্দ্রীয়ভাবে দেখার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। অর্থাৎ, একটি জায়গাতেই সমস্ত খাতা জড়ো করা হয়। সেখানেই শিক্ষকরা এসে খাতা দেখেন। সেভাবেই অড সেমেস্টারের খাতা দেখার জন্য কলেজগুলির থেকে পরীক্ষকদের নাম চাওয়া হয়েছিল। প্রতি কলেজ পরীক্ষকের তালিকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে পাঠিয়েও দিয়েছিল। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, খাতা দেখা শুরু হলেও বহু শিক্ষকই হাজির হচ্ছেন না। ফলে খাতা দেখার কাজ ব্যাহত হচ্ছে। শিক্ষকদের উদ্দেশে কর্তৃপক্ষের বার্তা, পড়ানোর পাশাপাশি খাতা দেখাও শিক্ষকদের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। সেই দায়িত্ব কোনওভাবেই অবহেলা করা যাবে না। ডিসেম্বরের পরীক্ষা শেষ হলেও, খাতা দেখার জন্য রোজ যতজন শিক্ষকের থাকার কথা, তা থাকছেন না। এতে সময়ের মধ্যে ফল প্রকাশ করা যাবে না।
কলেজের যে সব শিক্ষক খাতা দেখতে আসছেন না, তাঁদের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখার জন্য কলেজ কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়। উপাচার্য সৈকত মৈত্র বলেন, শিক্ষকরা যাতে নিয়ম করে খাতা দেখতে আসেন, তাই এমন কড়া মনোভাব দেখানো হয়েছে। অন্যদিকে, বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক কর্তার মতে, ডিসেম্বরের শেষে একটা ছুটির মুড শুরু হয়ে যায়। তার রেশ থাকে বেশ কিছু দিন। শিক্ষকরাও সেই ছুটির আমেজে রয়েছেন বলে মনে হয়। তাই একটু কড়া মনোভাব না দেখালে হয় না।
এদিকে, কেন্দ্রীয়ভাবে পরীক্ষার খাতা দেখার ব্যবস্থা চালু করা হলেও আগামী দিনে অনলাইনে খাতা দেখার ব্যবস্থা চালু করার চিন্তাভাবনা রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের। কর্তাদের মতে, সব ঠিক থাকলে আগামী বছরের মধ্যেই এই ব্যবস্থা চালু করা যেতে পারে। সেক্ষেত্রে কীভাবে এই খাতা দেখা হবে? সূত্রের খবর, পরীক্ষার্থীদের খাতা স্ক্যান করে তা অনলাইনে আপলোড করে দেওয়া হবে। সেখানেই খাতা দেখার কাজ সম্পন্ন হবে। এতে একাধিক সুবিধা হবে বলে মনে করছেন শিক্ষকরা। প্রথম, অনেকটাই তাড়াতাড়ি খাতা দেখার কাজ শেষ হবে। দ্বিতীয়ত, নম্বর আপলোড করাও সুবিধা হবে। খাতা হারিয়ে যাওয়ার কোনও আশঙ্কা থাকবে না। এভাবে খাতা দেখা এখন কয়েকটি বিষয়ে চালু আছে বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু আগামীদিনে প্রত্যেক বিষয়েই তা করতে চাইছে তারা।