কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
এই ঘটনার পরই নড়েচড়ে বসেন বনদপ্তরের কর্তারা। এক কর্তার কথায়, গত কয়েকবছর ধরেই এই ক্যালেন্ডার প্রকাশ করা হয়। কোন কোন জেলায় কখন শিকার উৎসব হয়, সে বিষয়ের সমস্ত তথ্য ওই ক্যালেন্ডারে থাকে। কিন্তু যেকোনও কারণেই হোক নজরদারির একটু খামতি থেকে যায়। তাই চলতি বছর আগেভাগেই নজরদারি শুরু করে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, জেলায় বনদপ্তরের সমস্ত অফিসারদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, আগেভাগে গ্রামে গ্রামে গিয়ে সচেতনতা প্রচার চালাতে হবে। পাশাপাশি শিকার উৎসবের দিনগুলিতে আগে থেকেই কড়া পদক্ষেপ নিতে হবে। বনদপ্তরের পক্ষ থেকে যে ক্যালেন্ডার প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে বলা হয়েছে বছরের মোট ২৩ দিন রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় এরকম শিকার উৎসবের ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে মে এবং জুন মাসে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় সবচেয়ে ভয়াবহ শিকার উৎসব হয় বলেই বনদপ্তরের দাবি। তবে বনদপ্তরের সঙ্গে কাজ করা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের প্রতিনিধি তথা বন্যপ্রাণ প্রেমী শুভ্রজ্যোতি চট্টোপাধ্যায় বলেন, শুধুমাত্র মে এবং জুন ধরলেই দেখা যাবে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের জেলায় প্রায় ২৫-৩০ দিন শিকার উৎসব হয়।
বুদ্ধপূর্ণিমা এবং ফলহারিণী কালীপুজোর সময় এই শিকার উৎসব সবথেকে বেশি লক্ষ করা যায়। সবমিলিয়ে ধরলে বছরের প্রায় ৫৫-৬০ দিন এই শিকার উৎসব চলে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায়। এই দিনের সংখ্যা নিয়মিতই বেড়ে চলেছে। তাই বনদপ্তরকে আরও কড়া পদক্ষেপ নিতে হবে। পাশাপাশি সচেতনতা প্রচারও করতে হবে। তিনি আরও বলেন, পুরো শিকার উৎসবের সঙ্গে আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষের যোগ থাকে এমনটা নয়। আদিবাসীদের শিকার উৎসবকে সামনে রেখে বহু স্থানীয় চোরাশিকারি এই সময় নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করতে ব্যস্ত থাকে। সেটা রুখতে হবে বনদপ্তরকে। এর জন্য আগে থেকে প্রচার চালানো প্রয়োজন। মে-জুন মাসে এই শিকার উৎসব হয়, সেক্ষেত্রে ফেব্রুয়ারির পর থেকেই তারা প্রচার চালাবেন বলে জানান শুভ্রজ্যোতিবাবু। শীঘ্রই তাঁরা লালগড় কলেজেও এরকমই একটা সচেতনতা প্রচার শিবিরের আয়োজন করতে চলেছেন।