বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
তবে অস্বস্তি কেবল একা কংগ্রেসের নয়। রাহুলের দলের সঙ্গে সমঝোতা করে লোকসভা ভোটের লড়ার পক্ষপাতী ছিল আলিমুদ্দিন। সোনিয়া-রাহুলের দূত হয়ে খাড়গের আগমন এবং শেষ পর্যন্ত কংগ্রেস সভাপতির তরফে বিজেপি বিরোধী মেগা র্যা লির জন্য ‘মমতাদি’কে পাঠানো শুভেচ্ছা বার্তায় কার্যত মুষড়ে পড়েছে সিপিএম। লোকসভা ভোটে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট হবে কি না, তা নিয়ে সিপিএমের রাজ্য নেতৃত্ব পড়েছে মহা ধন্দে। তবে পরিস্থিতি সামাল দিতে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র এক বিবৃতিতে বলেছেন, গণতন্ত্র, সামাজিক ন্যয়বিচার ও ধর্মনিরপেক্ষতার ভিত্তিতেই প্রকৃত জাতীয়তাবাদ ও উন্নয়ন সম্ভব বলে রাহুল গান্ধী যে বার্তা দিয়েছেন, তা যথার্থই। কিন্তু এই তিন প্রশ্নে রাজ্যের শাসকদলের ভূমিকা অত্যন্ত নিন্দনীয়। রাজ্যে তৃণমূলের নেতা ও দুর্বৃত্ত বাহিনী ভয়ের রাজত্ব কায়েম করেছে। বিজেপি এবং তৃণমূল সাম্প্রদায়িকতার প্রশ্নে পরস্পরের পরিপূরক। বিভিন্ন নেতারা শনিবার কী অবস্থান নেন তার উপর লক্ষ্য রাখব আমরা এবং ভবিষ্যতে সেইমতো অভিমত দেব।
সম্ভবত এই কারণে লোকসভা নির্বাচনে একক লড়াইয়ের জন্য প্ল্যান বি তৈরির প্রস্তুতি নিতে শুরু করছে সিপিএম। এদিন বামফ্রন্টের দুই শরিক ফরওয়ার্ড ব্লক এবং আরএসপি’র সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন বিমান বসু-সূর্যকান্ত মিশ্ররা। সেই বৈঠকে দুই শরিকের কাছ থেকে তাঁরা সম্ভাব্য সব পরিস্থিতি নিয়েই আলোচনা করেন। এমনকী, ৩ ফেব্রুয়ারি বামেদের ব্রিগেডে কংগ্রেস সহ সহযোগী দক্ষিণপন্থী দলগুলিকে ডাকা সমীচীন হবে কি না, সেটাও জানতে চান তাঁরা। শরিকরা অবশ্য বুঝিয়ে দেন, কংগ্রেস, এনসিপি, আরজেডি, সমাজবাদী পার্টির মতো সহযোগী দলগুলির জাতীয় নেতারা শনিবার মমতার ব্রিগেডে হাজির হচ্ছেন। এরপর তাঁদের বাম ব্রিগেডে ডাকা অর্থহীন। তবে সূর্যবাবুরা এদিনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের কথা জানাননি। যদিও লোকসভা ভোটে শরিকরা নিজেদের প্রাপ্য আসনে লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত আছে কি না, সেটা জেনে নেন তাঁরা। দুই শরিকই নিজেদের কোটার আসনে লড়তে রাজি আছে বলে জানিয়ে দেয়।
মমতার ব্রিগেডকে শুভেচ্ছা বার্তা পাঠানোর দিনই অবশ্য প্রদেশ কংগ্রেস দপ্তরে এসে কয়েকশো তৃণমূল কর্মী-সমর্থক রাহুল গান্ধীর দলে যোগ দেন। সেই উপলক্ষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে প্রদেশ সভাপতি সোমেন মিত্র বলেন, কলকাতার ৬৪ নম্বর ওয়ার্ডের নেতা-কর্মীদের একাংশ তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দিলেন শাসকদলের অপশাসন ও অগণতান্ত্রিক আচরণের জন্য। একই কারণে গত কয়েকদিনে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় তৃণমূল ছেড়ে বহু লোক কংগ্রেসে এসেছেন। এই প্রক্রিয়ায় হাইকমান্ডের সমর্থন রয়েছে। এরপরই কিঞ্চিৎ উত্তেজিত হয়ে তিনি বলেন, রাহুলজির ওই বার্তার অপব্যাখ্যা করা হচ্ছে। জাতীয় স্তরে বিজেপি’র সার্বিক বিরোধিতার পক্ষে কংগ্রেস। সেই কারণে বিজেপি বিরোধী সমাবেশের জন্য উনি ওই বার্তা দিয়েছেন। রাজ্যে তৃণমূলের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই যথারীতি চলবে।