কর্মক্ষেত্রে অশান্তির সম্ভাবনা। মাতৃস্থানীয় কার শরীর-স্বাস্থ্যের অবনতি। প্রেমে সফলতা। বাহন ক্রয়-বিক্রয়ের যোগ। সন্তানের বিদ্যাশিক্ষায় উন্নতি।প্রতিকার: ... বিশদ
বুধবার এ বিষয়ে বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, আমরা আগে সচরাচর সরকারি দপ্তরগুলিতে বিদ্যুতের বকেয়া বিল মেটানোর চিঠি পাঠাতাম না। খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই বলেছেন বকেয়া মেটানোর বিষয়ে তৎপর হতে। এর থেকে যা আদায় হবে, পরবর্তীকালে তো রাজ্যেরই উন্নয়নে লাগবে। দু’বছরের বেশি সময় তো আমরা বিদ্যুৎ মাশুল বাড়াইনি। টাকা আদায় করতে না পারলে রাজ্যবাসীর উপর বাড়তি বোঝা এসে পড়বে। এ বিষয়ে রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা ডাঃ অজয় চক্রবর্তী বলেন, শুনলাম। কীভাবে এ বিষয়ে আরও তৎপর হওয়া যায়, দেখছি।
দপ্তর সূত্রের খবর, এই ১,৭৯৯ জনের তালিকায় উত্তর ২৪ পরগনা, দুই দিনাজপুর, পুরুলিয়া সহ একের পর এক জেলার সিএমওএইচ-দের নামেও বিপুল টাকা বকেয়া রয়েছে। টাকা বাকি রেখেছেন বিভিন্ন প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে কর্মরত কয়েকশো মেডিক্যাল অফিসারও। শুধু তাই নয়, গ্রামীণ স্বাস্থ্য প্রশাসনের স্তম্ভ বিএমওএইচ’রা লক্ষ লক্ষ টাকা বিদ্যুতের বিল বাকি রেখেছেন। এই তালিকায় বারুইপুরের ড্রাগ কন্ট্রোল অফিসারের সহকারী অধিকর্তা, মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের এমএসভিপি, বসিরহাট মহকুমা হাসপাতালের সুপার, সল্টলেকে কেন্দ্রীয় সরকারি প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হোমিওপ্যাথির অধিকর্তার অফিস, কল্যাণীর ফার্মাসি ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ সহ অজস্র আধিকারিকের নাম রয়েছে। নির্দিষ্টভাবে কে কেমন বকেয়া রেখেছেন? দু-একটি উদাহরণ দেখলেই তা স্পষ্ট হয়ে যাবে। যেমন, মুর্শিদাবাদের কর্ণসুবর্ণের বিএমওএইচ-এর বকেয়া ১২ পয়সা, আবার নবগ্রামের বিএমওএইচ বকেয়া রেখেছেন ৩৯ লক্ষ ৬৮ হাজার ১৮৩ টাকার বিল! দাসপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের মেডিক্যাল অফিসার বি চক্রবর্তী বকেয়া রেখেছেন মাত্র ৩ পয়সা! আবার সুকনা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের মেডিক্যাল অফিসারের বিদ্যুৎ বিল বকেয়া রয়েছে ১৩ লক্ষ টাকারও বেশি!