বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
সামিট পয়েন্ট কোনটি তা খুঁজে পেতে সমস্যা হওয়াতেই সত্যরূপের অনেকটা সময় নষ্ট হয়। তবে এদিন ভারতীয় সময় সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ তিনি নিরাপদেই হাই ক্যাম্পে নেমে এসেছেন। দীপাঞ্জনবাবু জানিয়েছেন, ডেলেরমো নামক একটি বিশেষ যন্ত্রের সাহায্যে তাঁরা প্রতি ১০ মিনিট অন্তর সত্যরূপের ভৌগোলিক অবস্থান জানতে পারতেন। এদিন ভোর সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত সবকিছু ঠিকঠাক চলার পর, শেষ এক ঘণ্টায় বারবার সত্যরূপের অবস্থান বদল দেখে তাঁরাও একটু ঘাবড়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু, শেষ পর্যন্ত শৃঙ্গ জয়ের খবর আসাতে তাঁরা সকলেই খুশি। সবকিছু ঠিক থাকলে, আজ সত্যরূপ বেস ক্যাম্পে নেমে আসবেন।
মাত্র ৩৫ বছর ২৯০ দিন বয়সে এই কীর্তি সম্পূর্ণ করলেন সত্যরূপ সিদ্ধান্ত। আগে এই রেকর্ড ছিল অস্ট্রেলিয়ার ড্যানিয়েল বুলের দখলে। তিনি ২০১৭ সালে ৩৬ বছর ১৫৭ দিন বয়সে রেকর্ড গড়েছিলেন। গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস ইতিমধ্যেই সত্যরূপের আবেদনটি গ্রহণও করেছে। ছেলের এই সাফল্যে উচ্ছ্বসিত তাঁর মা গায়ত্রী সিদ্ধান্ত। তিনি জানিয়েছেন, ছেলে খেতে খুব ভালোবাসে। ফিরে আসার পর, যা খেতে চাইবে— তাই রান্না করে খাওয়াব।
উল্লেখ্য, সত্যরূপ যাত্রা শুরু করেছিলেন আফ্রিকা মহাদেশের সর্বোচ্চ এবং আগ্নেয়গিরি শৃঙ্গ কিলিমাঞ্জারো জয়ের মাধ্যমে। এরপরে ২০১৩ সালে ইউরোপের মাউন্ট এলব্রুস। ২০১৪ সালে দক্ষিণ আমেরিকার সর্বোচ্চ শৃঙ্গ আর্জেন্টিনার মাউন্ট অ্যাকনকাগুয়া জয়। সেই বছরই উত্তর আমেরিকার সর্বোচ্চ শৃঙ্গ মাউন্ট ডেনালি জয়। পরের বছর অস্ট্রেলিয়ার মাউন্ট কোসিউজকো। এরপর ২০১৬ সালের ২১ মে জয় করেন এভারেস্টও। ২০১৭ সালে ওশিয়ানিয়ার কার্স্টেনেজ পিরামিড এবং আন্টার্কটিকার মাউন্ট ভিনসন ম্যাসিফ জয়। এরপর একের পর এক বিশ্বের সর্বোচ্চ আগ্নেয়গিরি শৃঙ্গ মাউন্ট ওজোস ডেল সালাডো সহ মাউন্ট দামাবন্দ, গিলাউয়ি, পিকো ডে ওরিজাবা জয় করা।