কর্মক্ষেত্রে অশান্তির সম্ভাবনা। মাতৃস্থানীয় কার শরীর-স্বাস্থ্যের অবনতি। প্রেমে সফলতা। বাহন ক্রয়-বিক্রয়ের যোগ। সন্তানের বিদ্যাশিক্ষায় উন্নতি।প্রতিকার: ... বিশদ
বিজেপি বিরোধিতায় জাতীয়স্তরের রাজনৈতিক নেতাদের হাজির করে ঐতিহাসিক ব্রিগেড সমাবেশ করতে চান মমতা বন্দ্যেপাধ্যায়। মোদি হটানোর ডাক দিয়ে মহাজোটের বার্তা দিতেই এবারের ব্রিগেড সমাবেশ। সেই সমাবেশের প্রস্তুতি নিয়ে মঙ্গলবার বিকেলে নবান্নে একটি বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে ভিভিআইপি, ভিআইপি প্রোটোকল ও নিরাপত্তা নিয়ে বৈঠক করেন তিনি। বৈঠকে সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সাংসদ সুব্রত বক্সি, দীনেশ ত্রিবেদি, সৌগত রায়, ডাঃ কাকলি ঘোষদস্তিদার, ডেরেক ও’ব্রায়েন, সুখেন্দুশেখর রায়, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, নাদিমুল হক, কলকাতার পুলিস কমিশনার রাজীব কুমার, সল্টলেকের পুলিস কমিশনার জ্ঞানবন্ত সিং প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এবং আঞ্চলিক দলের নেতাদের নিরাপত্তা ও প্রোটোকলের বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। ওই সব নেতাদের বিমানবন্দরে স্বাগত জানানো থেকে সবরকম দেখভালের দায়িত্ব দেওয়া হয় এক একজন সাংসদকে।
২০১১ সালে সিপিএম সরকারকে পরাস্ত করার পর মমতা বিজয় সমাবেশ করেছিলেন ব্রিগেডে। তার সাত বছর বাদে বিজেপিকে হটানোর ডাক দিয়ে ফের সেই ব্রিগেডে সমাবেশ করছেন মমতা। এর জন্য পাঁচটি মঞ্চ তৈরির কাজ চলছে। মূল মঞ্চটি হবে ৪৪ বাই ১০০ ফুটের। ১০ ফুট উঁচু। মঞ্চের পিছনে থাকবে দেশের একটি ম্যাপ ও মমতার ছবি। মঞ্চের দু’পাশে দুটি করে চারটি মঞ্চ থাকবে। দুটি মঞ্চ হবে আট ফুট উচ্চতার ৩২ বাই ৪৪ ফুট। বাকি দু’টি হবে চার ফুট উচ্চতার ৩২ বাই ২৪ ফুটের। মঞ্চে যাওয়ার জন্য চারটি গেট থাকবে। প্রতি গেটেই বসবে মেটাল ডিটেক্টর ফ্রেম। গোটা এলাকা জুড়ে থাকবে এক হাজার মাইক। দুরে থেকে যাতেও নেতাদের দেখা যায়, তার জন্য ২০টি এলইডি স্ক্রিন থাকবে। সাউন্ড সিস্টেম থাকবে ২০০টি। মূল মঞ্চ মিলিয়ে থাকবে ৫০০ চেয়ার। ভিভিআইপি কার পার্কিংয়ের জন্য আলাদা ব্যবস্থা থাকবে। ড্রোনের মাধ্যমে প্রতি মুহূর্তে নজরদারি চলবে। পর্যাপ্ত নিরাপত্তা বলয় থাকবে। সল্টলেকের সেন্ট্রাল পার্ক, নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়াম সহ শহরের বিভিন্ন জায়গায় রাখা হবে দলীয় কর্মীদের। শুক্রবারই দলীয় কর্মীরা শহরে চলে আসবেন বলে মনে করছে তৃণমূল নেতৃত্ব। বেলা ১২টায় সভা শুরু করবেন মমতা। ২০১৯ এ বিজেপিকে হটানোই এবারের সভার অন্যতম লক্ষ্য। সেই বার্তাই পৌঁছে দিতে চান মমতা।