কর্মক্ষেত্রে অশান্তির সম্ভাবনা। মাতৃস্থানীয় কার শরীর-স্বাস্থ্যের অবনতি। প্রেমে সফলতা। বাহন ক্রয়-বিক্রয়ের যোগ। সন্তানের বিদ্যাশিক্ষায় উন্নতি।প্রতিকার: ... বিশদ
কোন কোন এলাকায় এহেন অভিনব ‘ইন্টার্ন’ শিক্ষক নিগোগের কথা ভাবছে সরকার? মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, তরাই-ডুয়ার্স, ঝাড়গ্রাম সহ জঙ্গলমহলের প্রত্যন্ত এলাকা, পশ্চিম মেদিনীপুরের কিছু অংশ এবং সুন্দরবনে যেখানে শিক্ষকের অপ্রতুলতা নিয়ে সমস্যা রয়েছে, সেখানেই ইন্টার্ন চালু করার কথা ভাবা হচ্ছে। মমতার কথায়, দু’বছর ইন্টার্ন শিক্ষক হিসেবে যে বা যাঁরা কাজ করবেন, তাঁদের সরকারের তরফে একটি শংসাপত্র দেওয়া হবে। ভবিষ্যতে তাঁদের মধ্যে যে বা যাঁরা শিক্ষকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত হতে চাইবেন, যোগ্যতা হিসেবে সেই শংসাপত্র কাজে লাগবে। ভালো ‘ইন্টার্ন’ শিক্ষকদের বিষয়ে সরকার নিয়মিত ‘রিভিউ’ও করবে। মুখ্যমন্ত্রী জানান, রাজ্যের কোথাও শিক্ষক সংখ্যা বেশি আবার কোথাও কম রয়েছে। মুখ্যসচিব, শিক্ষাসচিব, অর্থসচিবের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই দু’টির মধ্যে ভারসাম্য আনতে কাজ করবে ওই কমিটি। কোথায় কত ইন্টার্ন শিক্ষক লাগবে, তাঁদের কাজের বিনিময়ে সাম্মানিক প্রদান করা বাবদ কত টাকা খরচ হবে, সেই সব নির্ধারণ করবে এই কমিটি। তবে গোটা বিষয়টি সময়সাপেক্ষ বলে জানান মমতা।
সাংবাদিক সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে সঙ্গে রেখে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এদিন খুব ভালো মিটিং হয়েছে। রাজ্যের ৩০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং সমস্ত কলেজের অধ্যক্ষরা উপস্থিত ছিলেন। আমরা ক্ষমতায় আসার আগে গোটা রাজ্যে ১৩টি বিশ্ববিদ্যালয় ছিল, আমরা এসে ২৮টি করেছি। আরও ১০টি বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি হবে। মমতার কথায়, এই সময়ে ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা ১৩ লক্ষ থেকে বেড়ে হয়েছে ২০ লক্ষ। কন্যাশ্রীর দৌলতে স্কুলছুট ছাত্রীর সংখ্যা তো কমেছেই, বরং ছাত্রীর সংখ্যা ৫.৬২ লক্ষ থেকে বেড়ে হয়েছে ৯.৭৪ লক্ষ, বৃদ্ধির হার ৭৩ শতাংশ। মুখ্যমন্ত্রী জানান, রাজ্যে আরও দু’টি করে হিন্দি এবং উর্দু মাধ্যম কলেজ তৈরি করা হচ্ছে।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের পড়ুয়ারা সবাই কলকাতার বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে পড়তে পারেন না। তবে শিক্ষার গুণগতমান যাতে একই থাকে, সেই বিষয়টি নিয়ে চিন্তাভাবনা চলছে। এই বিষয়টি নিয়ে ‘আন্ডার ওয়ান আমব্রেলা’ পদ্ধতি চালু করা হচ্ছে। নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিনের বৈঠকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাস প্রস্তাবটি রাখেন মুখ্যমন্ত্রীর কাছে। সাগ্রহে তাতে সম্মতি দেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। সাংবাদিক সম্মেলনে এই বিষয়ে মমতা বলেন, শিক্ষামন্ত্রীর নেতৃত্বে শিক্ষাসচিব, যাদবপুর, কলকাতা এবং প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের রেখে একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠন করা হয়েছে। কলকাতার বাইরে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে কীভাবে পড়াশোনার কাজে সাহায্য করা হবে, তার পন্থা নির্ধারণ করবে এই কমিটি।