বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
এদিনের সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে অভিষেকবাবু বলেন, প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের দেওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, গত সাড়ে চার বছরে নরেন্দ্র মোদী তাঁর ব্যাক্তিগত প্রচারের জন্য ৫ হাজার ২৭৮ কোটি, বিদেশ ভ্রমণে ২ হাজার কোটি ও গুজরাটে একটি মূর্তি বসাতে ৩ হাজার কোটি টাকা খরচ করেছেন। আর আমাদের মুখ্যমন্ত্রী ১০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ‘কৃষক বান্ধব’ স্কিম চালু করেছেন। যার সাহায্যে রাজ্যে কোনও কৃষকের ৬০ বছরের মধ্যে মৃত্যু হলে, তাঁর পরিবার ২ লক্ষ টাকা আর্থিক অনুদান পাবেন। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আর নরেন্দ্র মোদীর তফাতটা বাংলা কেন, গোটা দেশ জানে। সেজন্যই বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা ১৯ জানু্যারির সভায় আমাদের নেত্রীর হাত শক্ত করার জন্য হাজির হচ্ছেন।
তৃণমূল যুব সভাপতি বলেন, এর আগেও ব্রিগেডে সমাবেশ হয়েছে। তবে এবারের ব্রিগেড সমাবেশের একটা আলাদা গুরুত্ব রয়েছে। কারণ এবারের ব্রিগেডের সভায় কাশ্মীর থেকে ওমর আবদুল্লা, ফারুক আবদুল্লাদের মতোই অরবিন্দ কেজরিওয়াল, এম কে স্ট্যালিন, শারদ যাদব, অখিলেশ যাদব, শারদ পাওয়ার, শত্রুঘ্ন সিনহার মতো নেতৃত্ব হাজির হবেন। তাঁদের সামনে দেশের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির কফিনে শেষ পেরেক পোঁতার কাজ শুরু করবেন আমাদের দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই এবারের ব্রিগেড সমাবেশকে সফল করতে দলের প্রতিটি স্তরের কর্মীকে দায়িত্ব নিতে হবে।
অভিষেক বলেন, অর্থের বিনিময়ে অন্য রাজ্যগুলি মাথা নত করলেও, বাংলা তা করবে না। তিনি বলেন, তৃণমূল কংগ্রেস বা কর্মীদের যত আঘাত করবে, আন্দোলন ততই বাড়বে। অভিষেকবাবু বলেন, সমস্ত চোরেরা বিজেপিতে গিয়ে আস্তানা গেড়েছে। আর কয়েকটা আবর্জনা কুড়িয়ে নিয়ে বিজেপি ভাবছে, তারা বড় কিছু পেয়ে গেছে। তবে তা যে কোনও কাজে আসবে না, লোকসভা নির্বাচনের পরেই তা স্পষ্ট হয়ে যাবে।
এদিনের প্রস্তুতি সভায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়াও রাজ্যের তিন মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন, তপন দাশগুপ্ত, অসীমা পাত্র, সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, রত্না দে নাগ সহ জেলার সমস্ত বিধায়ক হাজির ছিলেন।