রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
খোঁজ নিয়ে জানা যাচ্ছে, পেনশন, গ্র্যাচুইটি বিষয়ক মামলার সংখ্যাই সবচেয়ে বেশি। দেরিতে গ্র্যাচুইটি দেওয়ার ঘটনায় বকেয়া সুদ চেয়ে মামলা হয়েছে। এ ছাড়াও রয়েছে এই সংক্রান্ত প্রায় একই ধরনের মামলা। কর্মরত শিক্ষকরা নতুন স্কুলে কাজে যোগ দেওয়ার পর পে প্রোটেকশন না পেয়ে মামলা করেছেন। প্রধান শিক্ষকরা তিন শতাংশ বর্ধিত বেতন পাচ্ছেন না, সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত এবং সরকার পোষিত স্কুলের শিক্ষদের পিএইচডি ডিগ্রির জন্য কেন বর্ধিত বেতন দেওয়া হবে না, শিক্ষকতার চাকরির আগে থেকেই যাঁরা উচ্চতর ডিগ্রি কোর্সে ভর্তি হয়েছেন, তাঁরা কেন বর্ধিত বেতন পাবেন না, এসব অভিযোগ, প্রশ্ন এবং দাবি তুলে মামলা হয়েছে। শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে সরকারের একাধিক নীতিগত সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে হওয়া মামলার সংখ্যা কম নয়। এই মামলাগুলি দীর্ঘদিন ধরে নিয়োগ থমকে দিয়েছিল। তবে, সন্তান প্রতিপালন এবং মাতৃত্বকালীন ছুটি নেওয়ার জন্য অনেক স্কুল কর্তৃপক্ষ বা প্রধান শিক্ষক-শিক্ষিকারা সহকারী শিক্ষিকাদের হেনস্তা করেছেন। অধিকাংশ ক্ষেত্রে সেসব ঘটনায় সহকারী শিক্ষিকারা আদালতের দ্বারস্থ হয়ে মামলা জিতেছেন। সম্প্রতি দক্ষিণ ২৪ পরগনারই দু’টি মামলার ক্ষেত্রে আদালত ওই শিক্ষিকাদের পক্ষেই রায় দিয়েছে। তাই এ ধরনের মামলার সংখ্যা আরও বাড়বে বলেই আশঙ্কা করছেন শিক্ষা দপ্তরের আধিকারিকরা। শিক্ষক বদলির দাবি নিয়েও ভূরি ভূরি মামলা রয়েছে।
তবে, আধিকারিকদের একটা অংশের বিরুদ্ধে ইচ্ছাকৃতভাবে মামলা জিইয়ে রাখার অভিযোগ রয়েছে। তাঁরা বরং মামলার সংখ্যা বাড়লে খুশিই হচ্ছেন। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষক বলেন, প্রধান শিক্ষকদের বর্ধিত বেতনের ব্যাপারে বিকাশ ভবনে একজন যুগ্মসচিব পদমর্যাদার আধিকারিকের সঙ্গে কথা বলতে গিয়েছিলাম। তিনি যাতে ফাইলটি সচিবের কাছে পাঠিয়ে দেন, এটাই ছিল অনুরোধ। উল্টে তিনি বলেন, শিক্ষকরা কোনও কিছু নিয়ে মামলা করলেই জিতে যাচ্ছেন। আমাকেও মামলা করার পরামর্শই দেওয়া হয়। কিন্তু আমরা সে পথে হাঁটিনি। বিকাশ ভবনে আরও একটি তত্ত্ব পাওয়া যাচ্ছে। মামলা হলে এক শ্রেণীর আধিকারিকের প্রত্যক্ষ সুবিধা হয়। কারণ, বিকাশ ভবন থেকে অফিসের গাড়িতে সরাসরি হাইকোর্টে চলে যাওয়া যায়। সেখান থেকে বেশিরভাগ দিনই আর অফিসে ফিরতে হয় না। সরাসরি বাড়ি চলে যাওয়া যায়। কিন্তু যদি মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে পর্যালোচনা শুরু হয়, কাদের ভুল সিদ্ধান্তের জন্য এই মামলাগুলি হয়েছে, সেক্ষেত্রে এই আধিকারিকরা সমস্যায় পড়তে পারেন। মুখ্যমন্ত্রী একবার প্রকাশ্যেই বলেছিলেন, শিক্ষাদপ্তর ঘুঘুর বাসা। এবার তিনি সেই বাসা ভাঙতে সরাসরি তৎপর হবেন বলেই আশা করছে ওয়াকিবহাল মহল।