রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
শীতের মরশুমে ঠান্ডার ওঠা-নামা নির্ভর করে পশ্চিমী ঝঞ্ঝার গতিবিধির উপর। কোনও ঝঞ্ঝা যখন কাশ্মীর-হিমাচল প্রদেশ প্রভৃতির উপর দিয়ে প্রবাহিত হয় তখন উত্তুরে হাওয়া দুর্বল হয়ে পড়ে। উত্তর ভারতের উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে আসা উত্তুরে হাওয়া জোরালো থাকলে এখানে কনকনে ঠান্ডা পড়ে। এখন একটি ঝঞ্ঝা কাশ্মীর-হিমাচল প্রদেশের উপর রয়েছে। এর প্রভাবে সেখানে তুষারপাতের অনুকূল পরিস্থিতি রয়েছে। তাছাড়া পাঞ্জাব, হরিয়ানা, দিল্লিতে বৃষ্টি হতে পারে। আগামী সোমবারের মধ্যে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা ওই এলাকা অতিক্রম করে চলে যাবে বলে আবহাওয়াবিদরা মনে করছেন। এরপর উত্তুরে হাওয়া সক্রিয় হয়ে উত্তর ভারত সহ গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে তাপমাত্রা নামাবে।
ডিসেম্বর মাসে প্রায় টানা ১৫ দিন ধরে কনকনে ঠান্ডা পড়েছিল গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে। ওই সময় কাশ্মীর ও পশ্চিম হিমালয় সংলগ্ন এলাকায় বেশ কিছুদিন কোনও ঝঞ্ঝা আসেনি। শীতের তীব্রতা টানা বেশ কয়েকদিন ধরে থেকে যাওয়ার কারণ এটাই ছিল বলে সঞ্জীববাবু জানিয়েছেন। ডিসেম্বরের শেষ লগ্নে কলকাতায় একদিন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০.৬ ডিগ্রিতে নেমে এসেছিল। গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের কয়েকটি জায়গায় ৬-৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে আসে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।
কিন্ত গত কিছুদিন ধরে একের পর এক পশ্চিমী ঝঞ্ঝা হানা দিচ্ছে কাশ্মীর-হিমাচল প্রদেশে। তাই শীতের আমেজ ভালোই থাকলেও, তীব্রতা আর আগের মতো নেই। গত কয়েকদিন ধরে কলকাতায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২-১৩ ডিগ্রির মধ্যে ঘোরাফেরা করছে। গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে কোনও কোনও জায়গায় ৯-১০ ডিগ্রির নীচে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বিশেষ নামেনি। শনিবারও কলকাতায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২.৭ ডিগ্রি। আজ, রবিবার ও কাল সোমবার কলকাতায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা কিছুটা বেড়ে ১৩-১৪ ডিগ্রির আশপাশে চলে আসতে পারে বলে আবহাওয়াবিদরা মনে করছেন।
সোমবারের পর তাপমাত্রা কতটা কমবে, তা নির্ভর করছে আগামী দুদিন তাপমাত্র কতটা বৃদ্ধি পাবে তার উপর। তবে তাপমাত্রা কমলেও তা খুব বেশিদিন স্থায়ী হবে না বলেই মনে করছেন আবহাওয়াবিদরা। কারণ আগামী ১৮ জানুয়ারি নাগাদ ফের একটি পশ্চিমী ঝঞ্ঝা আসতে চলেছে কাশ্মীরে। তার জেরে উত্তুরে হাওয়া কমজোরি হয়ে তাপমাত্রার ফের বৃদ্ধি ঘটাবে। যার প্রভাব পড়বে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গেও।