রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
বিগত পঞ্চায়েত ভোটে পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুরের মতো জঙ্গলমহলের বিভিন্ন জায়গায় শাসকদলের ভোট কমেছে। হাতছাড়া হয়েছে বেশ কয়েকটি গ্রাম পঞ্চায়েত। তারপরই রীতিমতো ঘুম ছুটেছে রাজ্যের ক্ষমতাসীন শাসকদলের। জঙ্গলমহলের গরিব মানুষের জন্য সরকার দু’টাকা কেজি দরে চাল দেওয়া থেকে শুরু করে বিভিন্ন প্রকল্প চালিয়ে যাচ্ছে। আদিবাসী ছেলেমেয়েদের যাতে চাকরি হয়, সেজন্য বেশকিছু প্রকল্প চালু রয়েছে। যার সুফল পেয়েছেন এখানকার সাধারণ মানুষ। কিন্তু তারপরেও এই এলাকাগুলিতে ভোটের ফল খারাপ হল কেন, তা নিয়ে কাটাছেঁড়া শুরু হয়। তা বিশ্লেষণ করতে গিয়েই উঠে আসে, আদিবাসীদের একটা অংশ শাসকদলের প্রতি কিছুটা হলেও বিভিন্ন কারণে বিরক্ত। শুধু তাই নয়, মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগ ও বারবার নির্দেশ সত্ত্বেও, বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা সংশ্লিষ্ট জেলায় দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্তাদের ঢিলেমির কারণে তাদের অনেকেরই কাছে পৌঁছে দেওয়া যায়নি। যে কারণে আরও বেশি আদিবাসীকে চাকরির সুযোগ দেওয়া প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। তাঁদের আরও বেশি করে সরকারি কাজে শামিল করাও হবে। যাতে আদিবাসী সমাজের কাছে বার্তা যায়, সরকার কতটা তাঁদের প্রতি সহানূভূতিশীল ও মানবিক। সেই সঙ্গে আদিবাসীদের অভাব-অভিযোগ মেটাতে সরকার কতটা তৎপর।
সেইমতো দায়িত্ব দেওয়া হয় পুলিসকে। পুলিসকর্তারা বিভিন্ন দিক থেকে খতিয়ে দেখে সিদ্ধান্ত নেন, কমিউনিটি পুলিসিংয়ের অঙ্গ হিসেবে তাঁদের স্বেচ্ছাসেবকের কাজ দেওয়া যেতে পারে। কমিউনিটি পুলিসিংয়ে পুলিসকর্মীরা যে সমস্ত কাজ করেন, তার সঙ্গেই শামিল হবেন তাঁরা। তাঁদের মাধ্যমেই জানার চেষ্টা হবে, আদিবাসীদের মধ্যে কোথাও কোনও ক্ষোভ-বিক্ষোভ রয়েছে কি না। সেই সঙ্গে বিভিন্ন সরকারি পরিষেবা বিভিন্ন জায়গায় পৌঁছে দেওয়ার জন্য তাঁদের কাজে লাগানো হবে। পাশাপাশি সিভিক ভলান্টিয়ারদের মতোই তাঁদের কাজে লাগানো হবে গ্রামে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা সহ অন্যান্য কাজেও। এই প্রস্তাবে সায় মেলার পরই তড়িঘড়ি তা চালু করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ জন্য খরচ হবে ৩৫ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা। যাতে ইতিমধ্যেই নবান্নের সবুজ সঙ্কেত মিলেছে। কাজের সুবিধার জন্য তাঁদের স্মার্ট ফোন থেকে শুরু করে অন্যান্য সামগ্রীও দেওয়া হবে। যাতে জেলার কোনও খবরাখবর তাঁরা ছবি তুলে চটজলদি পাঠিয়ে দিতে পারেন। কর্তাদের আশা, এরফলে এক ঢিলে দুই পাখি মারা যাবে। আদিবাসীদের মন জয়ের পাশাপাশি কাজে লাগানোও সম্ভব হবে।