পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
রাজ্যের অনগ্রসর শ্রেণিকল্যাণমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, সার্টিফিকেট পেতে মানুষের যাতে ভোগান্তি না হয়, তার জন্য আমাদের দপ্তর মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে এই ক্যাম্প করেছে। এখান থেকেই সার্টিফিকেট বিলি করা হবে। গত ২ জানুয়ারি ব্লকস্তরে এই ক্যাম্প শুরু হয়েছে। এখন থেকে তা পঞ্চায়েতস্তরেও চালু করা হল। এতে রাজ্যের কয়েক লক্ষ মানুষ উপকৃত হবেন। তাঁরা সঙ্গে সঙ্গে সার্টিফিকেট পেয়ে যাবেন।
সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত গোটা রাজ্যে ৮৭১টি ক্যাম্প থেকে এই সার্টিফিকেট বিলি শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত গোটা রাজ্যে ৪০ হাজার ৪৪০ জন সার্টিফিকেট নেওয়ার জন্য আবেদন করেছেন। তার মধ্যে ৩৫ হাজার ২৪৪জনের আবেদনপত্র পরীক্ষা হয়েছে। ১৭ হাজারের বেশি লোকজনকে সার্টিফিকেট বিলি করে দেওয়া হয়েছে। আরও এক সপ্তাহ এই ক্যাম্প চলবে। ফলে মোটা আবেদনকারীর সংখ্যা লক্ষাধিক হয়ে যাবে বলে দপ্তরের অফিসাররা মনে করছেন। অনগ্রসর শ্রেণিকল্যাণ দপ্তরের অফিসাররা বলেন, মূলত পরিবারের কারও এই সার্টিফিকেট থাকলে অনলাইনে আবেদন করলে সঙ্গে সঙ্গে সার্টিফিকেট বিলি করে দেওয়া হয়। কিন্তু, গ্রামাঞ্চলে অনলাইনে আবেদন করার মতো পরিকাঠামো এখনও নেই। সেই কারণেই প্রতিটি পঞ্চায়েত অফিসে এই ক্যাম্প করা হচ্ছে। সেখানে বিডিও অফিসের কর্মীরা আবেদনপত্র পূরণ বা প্রয়োজনীয় সাহায্য করে দেবেন। তারপর নিয়ম অনু্যায়ী সঙ্গে সঙ্গে সার্টিফিকেট বিলি করে দেওয়া হবে।
তবে যাঁদের পরিবারের কারও এই সার্টিফিকেট নেই, তাঁদের প্রয়োজনীয় নথি জমা দিতে হবে। ক্যাম্প চলাকালীনই দপ্তরের অফিসাররা প্রয়োজনীয় তদন্ত সেরে তাঁদের সার্টিফিকেট দিয়ে দেবেন। এই সার্টিফিকেট বিলি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বোলপুরে ক্ষোভ প্রকাশ করার পরই বিডিও অফিস থেকে পঞ্চায়েতস্তরে এই সার্টিফিকেট বিলির প্রক্রিয়া শুরু হয়। মানুষ যাতে দ্রুত সার্টিফিকেট পান, তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী রাজীববাবুকে নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। সেইমতো এই ক্যাম্পের তদারকিও করা হয়। যদিও রাজনৈতিক মহল মনে করছে, আগামী কয়েকমাসের মধ্যেই লোকসভা ভোট। তার আগে মানুষের মধ্যে যাতে ক্ষোভ না দেখা দেয়, তার জন্য রাজ্য সরকার যথেষ্ট তৎপর। সেই জন্যই পঞ্চায়েতস্তরে সার্টিফিকেট বিলির এই ক্যাম্প করা হয়েছে। এর আগে এই ধরনের ক্যাম্প কোনওদিন হয়নি। প্রসঙ্গত, ২০১১ সালে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর এখনও পর্যন্ত গোটা রাজ্যে প্রায় সাড়ে ৭৬ লক্ষ জাতিগত শংসাপত্র বিলি করা হয়েছে।