কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
মঙ্গলম অ্যাগ্রো প্রোডোক্টের বিরুদ্ধে অনেক দিন আগেই তদন্ত শুরু করে সিবিআই। তাদের বিরুদ্ধে জালিয়াতি, বিশ্বাসভঙ্গ, প্রতারণা সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়। এই সংস্থায় টাকা রেখে প্রতারিত আমানতকারীদের অভিযোগের ভিত্তিতেই সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে সিবিআই তদন্তভার হাতে নেয়। কিন্তু কেন্দ্রীয় এই সংস্থায় ডামাডোল শুরু হওয়ায় সমস্ত চিটফান্ড মামলার তদন্ত থমকে যায়। এই পর্ব মিটতেই আবার বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থার বিরুদ্ধে ফের অভিযানে নামার সিদ্ধান্ত হয়েছে। সেই মতোই বুধবার রাতে দিল্লি থেকে মঙ্গলম অ্যাগ্রো প্রোডাক্টের বিরুদ্ধে তল্লাশি চালানোর নির্দেশ আসে। তাদের সংস্থায় অভিযান চেয়ে এর আগে কলকাতা থেকে অনুমতি চাওয়া হয়েছিল। এরপরই বৃহস্পতিবার সকালে ৪০ জনের একটি দল ছ’টি টিমে ভাগ হয়ে তল্লাশিতে নেমে পড়ে। সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, মধ্য কলকাতা, বেহালা ও উত্তর ২৪ পরগনার বারাসতে এই সংস্থার অফিস ও বাড়িতে হানা দেওয়া হয়েছে। সারদা ও রোজভ্যালি কাণ্ডের পর থেকেই ঝাঁপ গুটিয়েছে এই চিটফান্ড কোম্পানি। সেখানে এদিনের তল্লাশিতে মিলেছে বিপুল সংখ্যক নথি, রেজিস্টার বুক, টাকা লেনদেনের প্রমাণপত্র সহ বিভিন্ন কাগজপত্র।
সেসব ঘেঁটে অফিসাররা জানতে পেরেছেন, সুদীপ্ত সেন, গৌতম কুণ্ডুর মতো একই কায়দায় বিভিন্ন স্কিম খুলে টাকা তুলেছে মঙ্গলম অ্যাগ্রো প্রোডাক্ট। এছাড়াও ডিবেঞ্চার ও আলুর বন্ড ছাড়া হয়। এ রাজ্য ছাড়াও ঝাড়খণ্ড, বিহার সহ অন্যান্য রাজ্য থেকেও টাকা তুলেছে তারা। সংস্থার তরফে টাকা ফেরতের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরেও টাকা পাননি আমানতকারীরা, এমনটাই অভিযোগ রয়েছে এই সংস্থার বিরুদ্ধে। এর আগে সেবি মঙ্গলম অ্যাগ্রো প্রডোক্টের টাকা তোলার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে। কিন্তু তা উপেক্ষা করেই তারা বাজার থেকে টাকা তুলছিল বলে অভিযোগ। বিভিন্ন কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমতি না নিয়েই আমানতকারীদের কাছ থেকে টাকা তোলা হয়েছে। ইতিমধ্যেই এই কোম্পানির বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির খোঁজ মিলেছে। এগুলি কাদের নামে রয়েছে, তার নথি জোগাড় করা হচ্ছে। তদন্তকারী অফিসাররা জানতে পেরেছেন, আমানতকারীদের গচ্ছিত রাখা অর্থ ঘুরপথে বাইরে বের করে নিয়ে এসে ওই টাকায় নিজেদের সম্পত্তি করেছেন কোম্পানির কর্ণধারেরা। এমনকী তাঁদের ব্যক্তিগত ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টেও জমা পড়েছে এই টাকা। তার হিসেব বের করার চেষ্টা করছেন সিবিআই আধিকারিকরা।