পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
সমগ্র শিক্ষা অভিযানের রাজ্য প্রকল্প অধিকর্তা (এসপিডি) আর বিমলা সব জেলাশাসক এবং সচিবদের যে রূপরেখা পাঠিয়েছেন, তাতে একথা বলা হয়েছে। একই সঙ্গে, ভবিষ্যতে কেরিয়ার সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য পড়ুয়ারা যাতে হাতেকলমে জ্ঞান অর্জন করে, সেটাও মাথায় রাখতে বলা হয়েছে। গোটা বিষয়টা পর্যবেক্ষণ এবং পরিচালনার জন্য জেলাগুলিতে একটি কমিটি গঠন করতে বলা হয়েছে। তাতে সমগ্র শিক্ষা অভিযানের কাজ পরিচালনার দায়িত্বপ্রাপ্ত একজন অতিরিক্ত জেলাশাসক থাকবেন। তিনিই হবেন কমিটির চেয়ারম্যান। জেলা শিক্ষা আধিকারিক হবেন এর আহ্বায়ক। এছাড়াও ডিআই, এসআই এবং প্ল্যানিং কো-অর্ডিনেটররা এর সদস্য হবেন। পুরসভা স্তরেও একটি কমিটি গঠন করতে হবে। তাতে চেয়ারম্যান হবেন মহকুমাশাসক। আর ব্লকস্তরের কমিটির চেয়ারম্যান হবেন বিডিও।
প্রত্যেক স্কুলের প্রধান শিক্ষক একজন সহকারী শিক্ষককে মনোনীত করে দেবেন। তিনিই হবেন নোডাল অফিসার। এই ভিজিটগুলি করতে হবে শনিবার দ্বিতীয়ার্ধে। আর সেটা সম্ভব না হলে গরমের ছুটিতে যে কোনওদিন করা যেতে পারে। অর্থাৎ, পঠনপাঠন বন্ধ রেখে তা করা যাবে না। কোন কোন পড়ুয়া যাবে, তা ঠিক করবে স্কুলগুলিই। তবে, ওই তালিকায় তুখোড় ছাত্র থেকে পড়াশোনায় পিছিয়ে পড়া ছাত্রদের সংখ্যা সমান রাখতে হবে। কো-এড স্কুলের ক্ষেত্রে ছাত্র এবং ছাত্রীদের অনুপাতও সমান রাখতে হবে। প্রতিটি শ্রেণী থেকে ৩০ জন পড়ুয়া এই ভিজিটে যেতে পারবে। সেই হিসেবে প্রতি স্কুল থেকে সর্বোচ্চ ১২০ জন পড়ুয়া এই সুযোগ পাবে। পড়ুয়া পিছু বরাদ্দ হবে ২০০ টাকা। তার মধ্যে যাতায়াতের খরচ ধরা হয়েছে ৭০ টাকা। এছাড়া খাওয়া বাবদ ১০০ টাকা এবং কাগজ, কলম প্রভৃতির খরচ ৩০ টাকা রাখা হয়েছে। যাতায়াত মিলিয়ে এই ভ্রমণ তিন ঘণ্টার হবে। তার আগে স্কুলে ৩০ মিনিট ওরিয়েন্টেশন করতে হবে।
তবে, যেখানে খুশি চাইলেই যাওয়া যাবে না। ব্লক কমিটি একটি জায়গা নির্বাচন করবে। দিনক্ষণও ঠিক করবে। তারপর তা জানাতে হবে জেলা কমিটিকে। যে জায়গাটি ঠিক করা হয়েছে, তা নিয়ে জেলা কমিটির কোনও আপত্তি না থাকলেই সেখানে যাওয়া যাবে। অর্থাৎ, এ ব্যাপারে কড়া নজরদারি থাকবে বলেই মনে করা হচ্ছে। বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির সহ-সাধারণ সম্পাদক বলেন, এক্সপোজার ভিজিটের সুবিধা সপ্তম শ্রেণী পর্যন্ত প্রসারিত করা হয়েছে। এটা ভালো ব্যাপার। কিন্তু এটা আবার পড়ুয়াদের কাছে সরকারি প্রকল্প প্রচারের হাতিয়ার না হয়ে ওঠে।