বিতর্ক বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থ উপার্জনের সুযোগ। ... বিশদ
স্বাভাবিকভাবে প্রথম দিনের তুলনায় দ্বিতীয় দিনে কলকাতা সহ বেশ কয়েকটি জেলায় জনজীবন আরও স্বাভাবিক ছন্দে ছিল। এই কারণে খানিকটা হতাশায় ধর্মঘটীরা এই ধরনের হাঙ্গামা ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে শাসকদল তৃণমূল। দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, মঙ্গলবার, প্রথম দিনে ধর্মঘটে তেমন সাড়া ছিল না। বুধবার তো মানুষই জনজীবন স্বাভাবিক রেখে সিপিএম ও তার দোসরদের মোক্ষম জবাব দিয়েছে। ওরা ৩৪ বছর ধরে ধর্মঘটের বন্ধ্যা রাজনীতি করে বাংলাকে বহু বছর পিছিয়ে দিয়েছিল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই ধরনের নেতিবাচক রাজনৈতিক পদ্ধতিকে ধিক্কার জানিয়ে সেই অন্ধকারাচ্ছন্ন রাজ্যকে গত কয়েক বছর অক্লান্ত পরিশ্রম করে উন্নয়নের আলো দেখিয়েছেন। কিন্তু ওরা বাংলার সেই উন্নয়নের ধারাকে বাধা দিতেই এই সব কাজ এখনও চালিয়ে যাচ্ছে।
সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র অবশ্য দ্বিতীয় দিনে ধর্মঘটের সাফল্য আরও বেশি বলে দাবি করেছেন। একই দাবি করেছেন উদ্যোক্তা শ্রমিক সংগঠনগুলির নেতা অনাদি সাহু, উজ্জ্বল চৌধুরী, দিলীপ ভট্টাচার্য প্রমুখ নেতারাও। তাঁরা সকলেই একসুরে বলেন, মোদি সরকারের বিরুদ্ধে ডাকা এই ধর্মঘট ভাঙতে গোটা দেশের মধ্যে একমাত্র এ রাজ্যের প্রশাসনই সর্বশক্তি নিয়ে ময়দানে নেমেছিল। তা সত্ত্বেও বিভিন্ন শিল্পক্ষেত্রে শ্রমিকরা এবং গ্রামবাংলায় কৃষক-খেতমজুররা বিপুল সংখ্যায় ধর্মঘটে শামিল হয়েছেন। চরম অগণতান্ত্রিক একটা বাতাবরণ তৈরি করা হয়েছে রাজ্যজুড়ে। এর প্রতিবাদে ১১ তারিখ, শুক্রবার বাংলাজুড়ে কালা দিবস পালন করা হবে। ওইদিন সর্বত্র ঐক্যবদ্ধ মিছিল হবে। কলকাতায় ধর্মতলা থেকে মহম্মদ আলি পার্ক পর্যন্ত কেন্দ্রীয় মিছিল হবে। সেই মিছিলে রাজনৈতিক মতপার্থক্য ভুলে গণতন্ত্রপ্রিয় সব সংগঠন, দল ও মানুষকে শামিল হওয়ার আহ্বানও জানিয়েছেন তাঁরা।
এদিনও বেশ কয়েকটি বাস ও অন্যান্য যানবাহন ভাঙচুরের ঘটনায় তাঁদের দিকে আঙুল ওঠার প্রসঙ্গে অবশ্য সূর্যবাবুরা জানান, এই ধরনের তিন-চারটি ঘটনার খবর এসেছে। তবে এগুলি অবশ্যই কাঙ্ক্ষিত বা বাঞ্ছনীয় নয়। এই ধরনের ঘটনার কোনও নির্দেশ ছিল না। তাই ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে এবং কারা তাতে জড়িত ছিল, তা খতিয়ে দেখার জন্য সাংগঠনিক স্তরে রিপোর্ট তলব করা হয়েছে।