বিতর্ক বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থ উপার্জনের সুযোগ। ... বিশদ
বহিষ্কৃত এই দুই সংসদ সদস্যের সঙ্গে দলের দূরত্ব ছিলই। তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় এদিন দুই এমপির বহিষ্কারের কথা ঘোষণা করেন। তাঁর দাবি, সৌমিত্র অনেক দিন যাবৎ দলের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক রাখছিল না। মানুষের সঙ্গেও তার কোনও যোগাযোগ নেই। আসলে সৌমিত্র জেনে গিয়েছিল, আসন্ন লোকসভা ভোটে তাকে আর টিকিট দেওয়া হবে না। ওর মতিগতি দেখেই এদিন সকালে ওকে দল থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পার্থবাবু জানান, সকালেই চিঠি দিয়ে দলের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, জেলা নেতৃত্ব থেকে শুরু করে নানা বিষয়ে প্রায়ই সোশ্যাল মিডিয়ায় মন্তব্য করে তৃণমূলকে বিড়ম্বনায় ফেলাটা অভ্যাসে পরিণত করেছিলেন অনুপম। দল তাঁকে বারে বারে সতর্ক করলেও শৃঙ্খলারক্ষার কোনও চেষ্টাই ছিল না তাঁর। অবশেষে এদিন বিকেলে তাঁকেও বহিষ্কার করে বুঝিয়ে দেওয়া হয়, শৃঙ্খলারক্ষায় দল আপসহীন। পার্থবাবুর মতে, সৌমিত্রর মতো অনুপমও শৃঙ্খলাভঙ্গের কাজে যুক্ত ছিলেন। তাই তাঁকেও সরিয়ে দেওয়া হল।
সৌমিত্র আগের রাতেই ফেসবুক লাইভ করে জেলার পুলিস-প্রশাসনের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন। এর আগেও ফেসবুকে সরাসরি কোনও নাম না করে সংগঠনের নেতৃত্বকে কটাক্ষ করেছিলেন। এদিন দিল্লিতে দীনদয়াল মার্গে বিজেপির সদর দপ্তরে বসে তিনি বলেন, বাংলায় শুধুমাত্র পিসি-ভাইপোর রাজত্ব চলছে। আর কারও কথা শোনা হয় না। তবে বিজেপিতে যোগ দিলেও ঘাসফুল প্রতীকে জেতা লোকসভার সদস্যপদ ছাড়বেন না বলেই জানিয়েছেন সৌমিত্র। অভিষেককে বিষ্ণুপুর কেন্দ্রে জিতে দেখানোর চ্যালেঞ্জ জানান বহিষ্কৃত সৌমিত্র। অভিষেক পাল্টা বলেন, ও যে নিজের এলাকার সঙ্গে সম্পর্ক রাখে না, তা বোঝা যায় ওই তথাকথিত চ্যালেঞ্জ দেওয়ায়। বিষ্ণুপুরের এমপি ল্যাডের সাড়ে সাত কোটি টাকা কোথায় গেল, তা সে জানে না। পারলে ও একটা বুথে জিতে দেখাক।
কোতুলপুরে জোট প্রার্থী হিসেবে ২০১১ সালে কংগ্রেসের হয়ে জিতেছিলেন সৌমিত্র। পরে ২০১৩ সালে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন। ২০১৪ সালে তাঁকে বিষ্ণুপুরে টিকিট দেয় তৃণমূল। জেতার পর শুভন্দেু অধিকারীকে সরিয়ে সৌমিত্রকে দলের যুব শাখার রাজ্য সভাপতি করেন মমতা। কয়েক মাস বাদে তাঁকে সরিয়ে ওই পদে বসান অভিষেককে। তবে সৌমিত্রকে তাঁর ওই আসনেই প্রার্থী করতে চলেছে বিজেপি। দলে যোগ দেওয়ার পর সৌমিত্রকে তরুণ তুর্কি বলে অভিহিত করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান। পরে অমিত শাহ ও রাজনাথ সিংয়ের সঙ্গেও সাক্ষাৎ হয় তাঁর। বিজেপির দাবি, শীঘ্রই আরও অনেক তৃণমূল নেতা ও জনপ্রতিনিধি বিজেপিতে যোগ দিতে চলেছেন।