বিতর্ক বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থ উপার্জনের সুযোগ। ... বিশদ
রাজনৈতিক মহলের মতে, অসমে এনআরসি এবং লোকসভায় পাশ হওয়া নাগরিকত্ব বিল নিয়ে যখন উদ্বাস্তু মানুষ নতুন করে ছিন্নমূল হওয়ার শঙ্কায় দিন কাটাচ্ছেন, ঠিক সেই সময় এ রাজ্যে তাঁদের জমির মালিকানা স্বত্ব দেওয়ার ঘোষণা মা-মাটি-মানুষের সরকার প্রধানকে বাড়তি ‘ডিভিডেন্ড’ পেতে সাহায্য করবে। ওয়াকিবহাল মহলের বক্তব্য, নাগরিকত্ব বিলে অসমের উদ্বাস্তুরা যখন ভিটেমাটি হারানোর শঙ্কা করছেন, তখন এ রাজ্যে তাঁদের জমির অধিকার পাওয়াকে ‘সুনিশ্চিত’ করে লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে গেরুয়া শিবিরকে বড়সড় ধাক্কা দিলেন মমতা। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ১৯৪৭এর দেশভাগ এবং ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় এবং তারপরে এ রাজ্যে উদ্বাস্তুদের যে স্রোত এসে আছড়ে পড়েছিল, তার মধ্যে ৭০ থেকে ৮০ ভাগ মানুষই নমঃশূদ্র বলে দাবি করেছেন অল ইন্ডিয়া নমঃশূদ্র অ্যাসোসিয়েশনের শীর্ষকর্তা মুকুলচন্দ্র বৈরাগী। তাঁর কথায়, নাগরিকত্ব বিলের নামে যখন উদ্বাস্তুদের ভিটে-মাটি আর নাগরিক অধিকার কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা শুরু হয়েছে, ঠিক তখনই মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণা। তিনি আমাদের মাথা গোঁজার ঠাঁই সুনিশ্চিত করলেন। তাঁর কাছে আমরা কৃতজ্ঞ।
প্রশাসনিক বৈঠকে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণ নিয়ে নদীয়ার অংশের কাজের রিপোর্ট চান মুখ্যমন্ত্রী। তা জানাতে গিয়ে পূর্ত দপ্তরের প্রধান সচিব অর্ণব রায় বলেন, জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ কাজটা করতে পারছে না। দীর্ঘদিন ধরে আটকে রয়েছে সম্প্রসারণের কাজ। এখন ওরা বলছে, আপনারা (রাজ্য সরকার) করুন। এ মাসেই কাজটি হস্তান্তর করার কথা। দৃশ্যত বিরক্ত মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ, রাস্তার অবস্থা খুবই খারাপ। এক কাজ করুন। জাতীয় সড়কের এক কিলোমিটার অন্তর বোর্ড টাঙিয়ে লিখে দিন— দুঃখিত, এই রাস্তাটা রাজ্যের নিয়ন্ত্রণে নয়, এটা কেন্দ্রীয় সরকারের রাস্তা। উত্তর ২৪ পরগনার অংশে এই কাজটা করবে বালু (জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক) আর নদীয়ায় করবে শঙ্কর (শঙ্কর সিংহ)।