কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
কী বার্তা দিয়েছেন মমতা? সোশ্যাল মিডিয়ায় বাংলার মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, হঠাৎ করে ইন্টারনেট নিয়ন্ত্রণ করতে কেন্দ্রীয় সরকারের অতিমাত্রার আগ্রহ নিয়ে আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। ইন্টারনেট নিয়ন্ত্রণে নতুন আইন তৈরি করতে চাইছে কেন্দ্র, এরকম খবর পাচ্ছি। এতেই বোঝা যাচ্ছে, তাদের ভ্রান্ত নীতির সমালোচনা করে সোশ্যাল মিডিয়ায় সাধারণের যে সমস্ত বার্তা আসছে, তাতে তারা ভয় পেয়েছে। যে সোশ্যাল মিডিয়াকে অন্যকে আক্রমণ করার জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে এবং যে মিডিয়ার প্রচারকে ভর করে তাঁরা ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচন জিতেছিল, সেই সামাজিক মাধ্যমকে মোদি সরকার কেন ভয় পাচ্ছে, আমরা জানতে চাইছি। লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে ইন্টারনেট আইনের পরিবর্তন করার কেন প্রয়োজন পড়ল, তা নিয়ে প্রশ্নও তুলেছেন মমতা। তারা কি বাক স্বাধীনতায় সেন্সরশিপ চালু করতে চাইছে? সোশ্যাল মিডিয়ায় এই প্রশ্নও তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। সোশ্যাল মিডিয়াই এখন প্রকৃত মিডিয়া হয়ে উঠেছে, যেখানে মানুষ তাদের মতামত প্রকাশ করছে, আর সেটাই কি কেন্দ্রীয় সরকারের ভয় পাওয়ার কারণ? তা নিয়েও তিনি প্রশ্ন তুলেছেন।
নেট নজরদারিতে আইন বদলানোর শঙ্কাকে বিজেপি বিরোধী অন্য রাজনৈতিকদলগুলির মধ্যে ভাগ করতে চেয়ে মমতা লিখেছেন, এই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে এহেন ভ্রান্ত নীতি প্রয়োগ করার উদ্যোগকে, কঠোরভাবে বিরোধিতা করার জন্য সমস্ত রাজনৈতিক দলের নেতাদের কাছে অনুরোধ করছি। একইসঙ্গে সংসদে বিষয়টি নিয়ে সরব হওয়ার জন্য দলের এমপি’দেরও বলেছি। প্রত্যয়ী মমতার দৃপ্ত ঘোষণা— ভারতের গণতন্ত্র এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় সাধারণের অধিকারের উপর সেন্সরশিপ চালাতে দিতে পারিনা।