বিতর্ক বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থ উপার্জনের সুযোগ। ... বিশদ
উল্লেখযোগ্য হল, এই প্রথমবার রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর নিয়োগ করতে চলেছে পুরুষ নার্স। মোট নার্স নিয়োগ হতে চলেছে ৫৭০০’র কিছু বেশি। এছাড়া ১২৪৭ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকও রয়েছেন সেই তালিকায়।
মঙ্গলবার রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের কর্মী নিয়োগকারী সংস্থা হেলথ রিক্রুটমেন্ট বোর্ড (ডব্লুবিএইচআরবি)-এর শীর্ষকর্তা ডাঃ রাজেন পাণ্ডে বলেন, আমারা আশা করছি, ফেব্রুয়ারির মধ্যে সমস্ত নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করতে পারব।
স্বাস্থ্য দপ্তর এবং ডব্লুবিএইচআরবি সূত্রের খবর, এই ৫৭০০ নার্সের মধ্যে মহিলা ও পুরুষ জিএনএম, বিএসসি, পোস্ট বেসিক নার্স সহ সব ধরনের নার্সই রয়েছেন। ৯ জানুয়ারি, অর্থাৎ আগামীকাল শুরু হবে ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া। ১২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তা চলার কথা।
দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রথম লপ্তে কমবেশি ৭০জন পুরুষ নার্সও নিয়োগ করা হবে। তবে মহিলা নির্ভর নার্সিং পরিষেবায় পুরুষ নার্স বা দক্ষিণ ভারতীয় ‘ব্রাদার’দের সাধারণভাবে দেখা গিয়েছে নামী বেসরকারি হাসপাতালেই। রাজ্যে সরকারি ক্ষেত্রে এঁদের নিয়ে আনার কারণ কী? দপ্তরের এক পদস্থ সূত্র জানিয়েছে, মানসিক রোগ, অর্থোপেডিক সহ বেশ কিছু জায়গায় পুরুষ নার্সরা তুলনায় বেশি স্বাচ্ছন্দ্যে কাজ করতে পারবেন বলে মনে করছে দপ্তর। বিশেষত, মানসিক রোগীদের সামলানোর বিশেষ প্রশিক্ষণ থাকা সত্ত্বেও অনেক সময় মহিলা নার্সিং কর্মীদের সেইসব ওয়ার্ডে কাজ করতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হয়েছে। নিয়োগের পর এই দুই বিভাগ ছাড়াও কমবেশি সমস্ত বিভাগেই পাঠানো হবে মেল নার্সদের। বাদ শুধু স্ত্রীরোগ ও প্রসূতি বিভাগ। অশোকনগর এবং বাঘাযতীন— এই দুই সরকারি নার্সিং স্কুলে পুরুষ নার্সদের জিএনএম পড়ানো হয়। তাই আপাতত জোগানে সমস্যা হবে না। যত দিন যাবে, ওয়ার্ডে মেল নার্সদের সংখ্যাও সমানুপাতিক হারে বাড়ানো হবে।
নতুন করে বলার বিষয় নয় যে, রাজ্যে চাহিদার তুলনায় চিকিৎসক এবং বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের সংখ্যা অনেকটাই কম। সেজন্য লাগাতার চিকিৎসক নিয়োগের বিজ্ঞাপন দিয়ে যাচ্ছে ডব্লুবিএইচআরবি। এ বছরের গোড়াতেও জিডিএমও বা জেনারেল ডিউটি মেডিক্যাল অফিসার এবং বিশেষজ্ঞ— এই দুই ধরনের চিকিৎসক নিয়োগের জন্যই বিশেষ উদ্যোগ নিচ্ছে রাজ্য সরকার। এর মধ্যে ১২৪৭জন বিশেষজ্ঞ এবং কমপক্ষে ৪০০জন জিডিএমও আছেন। ১২৪৭জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ২১০জন অ্যানাসথেসিস্ট। এছাড়া সরকারি হাসপাতাল ও মেডিক্যাল কলেজগুলিতে বেশি দরকার জেনারেল সার্জেন (১৬৫জন), জেনারেল মেডিসিন বিশেষজ্ঞ (১৫৬জন), রেডিওলজিস্ট (১০৩জন), অর্থোপেডিক সার্জেন (৯৭জন), ইএনটি বিশেষজ্ঞ (৮৮জন) প্রমুখ চিকিৎসক। জিডিএমও নেওয়ার কথা কমপক্ষে ৪০০জন। সংখ্যাটি আরও বাড়তে পারে।
এছাড়া ৩৭০জন ল্যাবরেটরি টেকনোলজিস্ট, ৯১জন আয়ুর্বেদিক মেডিক্যাল অফিসার, দু’জন আয়ুর্বেদিক ড্রাগ ইন্সপেক্টর, ১৫০জন ফিজিওথেরাপিস্ট, একজন ডেপুটি সুপার পদাধকিারীকেও শীঘ্রই নিয়োগ করার কথা। এর মধ্যে একটি নিয়োগ প্রক্রিয়া সংক্রান্ত বিষয় আদালতে বিচারাধীন বলে রায়ের অপেক্ষায় রয়েছে কর্মী নিয়োগকারী সংস্থা।
ডব্লুবিএইচআরবি সূত্রের খবর, রাজ্যে চিকিৎসক সঙ্কট এমন পর্যায়ে চলে গিয়েছে যে, মাসে মাসে ডাক্তার নিয়োগের চেষ্টা চালিয়ে যেতেই হচ্ছে। তবে রাজ্য সরকারি চাকরিতে যোগ দেওয়ার ইচ্ছা ডাক্তারদের একেবারেই নেই, এমন কথাও ঠিক নয়। এক স্বাস্থ্যকর্তার দাবি, সরকারি হাসপাতালে চাকরিতে যোগদানে ইচ্ছাপ্রকাশ করে গড়ে ২০০জন ডাক্তার মাসে মাসে আবেদন করছেন।