অত্যধিক পরিশ্রমে শারীরিক দুর্বলতা। বাহন বিষয়ে সতর্কতা প্রয়োজন। সন্তানের বিদ্যা-শিক্ষায় অগ্রগতি বিষয়ে সংশয় বৃদ্ধি। আধ্যাত্মিক ... বিশদ
কেন্দ্রীয় সরকার গত কয়েক বছর ধরেই ডিজিটাল ইন্ডিয়া প্রকল্প রূপায়ণে নানা কর্মসূচি নিচ্ছে। অনলাইনে সরকারি কাজকর্ম, আর্থিক লেনদেন সহ নানা ব্যাপারে উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে। অন্যান্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রকের সঙ্গে রেলও ডিজিটাল ইন্ডিয়া রূপায়ণে সমানভাবে সচেষ্ট। সেই মতোই নগদহীন লেনদেনকে জনপ্রিয় করতে ও কাউন্টারের সামনে যাত্রীদের ভিড় কমাতে মোবাইল টিকেটিং ব্যবস্থা চালু করেছে রেলের বিভিন্ন জোন। গোটা দেশেই এই ব্যবস্থা ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে গত ১ নভেম্বর থেকে। যা ক্রমশ জনপ্রিয় হচ্ছে।
দক্ষিণ-পূর্ব রেল সূত্রের খবর, ট্রেনের অসংরক্ষিত কামরার টিকিট কাটার জন্য এই জোনের খড়্গপুর বিভাগে প্রথম মোবাইল টিকেটিং ব্যবস্থা চালু হয়েছিল ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে। তারপর গত ৪ জুলাই মাস থেকে গোটা জোনেই এই ব্যবস্থা সম্প্রসারণ করা হয়েছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে বিশেষ আর্থিক সুবিধা প্রদানের ব্যবস্থা। মোবাইলে টিকিট কাটার জন্য যখন আর-ওয়ালেট রিচার্জ করছেন যাত্রীরা, তখন পাঁচ শতাংশ হারে বোনাস হিসেবে অতিরিক্ত রিচার্জ ভ্যালু যুক্ত করে দেওয়া হচ্ছে। অর্থাৎ, কেউ ১০০ টাকার রিচার্জ করলে, তিনি মোট ১০৫ টাকার রিচার্জ ভ্যালু পাবেন। এই জোনের এক কর্তার কথায়, বিশেষ এই অ্যাপটি তৈরি করেছে ‘সেন্টার ফর রেলওয়ে ইনফরমেশন সিস্টেম’ (ক্রিস)। অ্যাপের মাধ্যমে অসংরক্ষিত কামরার টিকিট কাটা যাচ্ছে। প্ল্যাটফর্ম টিকিট কিংবা মান্থলি টিকিটও এই অ্যাপের মাধ্যমে কাটতে পারছেন যাত্রীরা।
এই বিশেষ ব্যবস্থার সুবিধা নিচ্ছেন কত যাত্রী? দক্ষিণ-পূর্ব রেল সূত্রের খবর, গত সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে এই ব্যবস্থায় ৩৯,০৬৮ জন যাত্রী টিকিট কেটেছেন। টাকার অঙ্কে টিকিটের মোট মূল্য ছিল ৪,২৫,৪৪৫ টাকা। অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে এই ব্যবস্থার সুযোগ নিয়েছেন ৩৮,৫৬৫ জন। কিন্তু টাকার অঙ্কে টিকিটের মোট মূল্য সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহকে ছাপিয়ে গিয়েছে। অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে এই ব্যবস্থায় মোট ৪,৪৯,৯২৩ টাকার টিকিট ইস্যু করা হয়েছে। নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে এই ব্যবস্থার মাধ্যমে আরও বেশি যাত্রী টিকিট কেটেছেন। জোন সূত্রের খবর, প্রথম সপ্তাহে মোট ৪৩,০১৮ জন যাত্রী টিকিট কেটেছেন। টিকিটের মোট অঙ্ক ৬,৩৭,৮৪৩ টাকা। বর্তমানে প্রতিদিন গড়ে ছ’ থেকে সাত হাজার যাত্রী এই ব্যবস্থায় টিকিট কাটছেন। তা থেকে দৈনিক আয় হচ্ছে গড়ে ৮০ হাজার থেকে ১ লক্ষ টাকা। এ নিয়ে জানতে চাওয়া হলে দক্ষিণ-পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক সঞ্জয় ঘোষ বলেন, অসংরক্ষিত টিকিট কাটার জন্য মোবাইল টিকেটিং ব্যবস্থার জনপ্রিয়তা আরও বাড়াতে আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। চালু করা হয়েছে বিশেষ হেল্পলাইন নম্বরও। তার নম্বর ০৩৩-২২১০৭৪৩৫। এই ব্যবস্থায় যাত্রীদের অযথা লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট কাটতে হচ্ছে না। বাঁচছে সময়।