বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
এদিকে, এদিনই বিজেপি নেতৃত্ব শ্রীরামপুর পুরসভা ভবনের ভেতরে মশারি টাঙিয়ে বিক্ষোভ দেখায়। তাদের অভিযোগ, আগেই পুরসভাকে স্মারকলিপি দিয়ে ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে সতর্ক করা হয়েছিল। কিন্তু তারা কোনও পদক্ষেপই করেনি। যার জেরে এখন আতঙ্কের পরিশে তৈরি হয়েছে। এদিন ডেঙ্গু নিয়ে বাসিন্দাদের ঘাড়ে দোষ চাপানোকেও সমালোচনায় বিদ্ধ করেছে বিজেপি নেতৃত্ব।
শ্রীরামপুর পুরসভার চেয়ারম্যান অমিয় মুখোপাধ্যায় বলেন, এদিন তিনটি ওয়ার্ড ২১, ২২, ২৩-এ ড্রোন দিয়ে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখা হয়েছে। ডেঙ্গু রোধ করতে প্রশাসনের নির্দেশে আমরা মশার জন্ম রোধ করতে চাইছি। তবে এদিনও প্রশাসনের কর্তাদের আমি দেখিয়েছি কীভাবে মানুষ বাড়ির সামনে জল জমিয়ে রাখছেন। অভিজাত এলাকাতেই এধরনের ঘটনা ঘটছে এটা দুর্ভাগ্যজনক। আমরা এদিনও ব্লিচিং, তেল ছড়ানোর কাজ করেছি। ডেঙ্গু মরশুমের আগে থেকেই এই কাজ করা হচ্ছে, নতুন নয়। যদিও চেয়ারম্যানের দাবি উড়িয়ে বিজেপির শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি শ্যামল বসু বলেন, আমরা শ্রীরামপুরে ডেঙ্গুতে মৃত সুনিধি শর্মার বাড়ি গিয়েছিলাম। সেখানকার বাসিন্দারা আমাদের জানিয়েছেন সুনিধির মৃত্যু নিয়ে হৈচৈ হওয়ার পরে সেখানে তেল, ব্লিচিং ছড়ানো হয়েছে। সারা বছর পুরসভা কোনও কাজ করে না। এখন বাসিন্দাদের ঘাড়ে দায় চাপানো হচ্ছে। অথচ আমরা জানি পুরসভা জুড়ে সমীক্ষা করা এবং সতর্ক করার জন্যে ধারাবাহিক কর্মসূচি নেওয়া হয়েছিল। তাহলে কি পুরসভা সেই কাজটাও করেনি নইলে জল জমার দায় বাসিন্দাদের ঘাড়ে কেন চাপানো হচ্ছে? জেলাশাসক ওয়াই রত্নাকর রাও বলেন, ডেঙ্গু মশা প্রতিরোধে একটি সুসংহত প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। আরও বেশকিছু পদক্ষেপ করা হবে।
শ্রীরামপুরের সুনিধি শর্মা নামে পাঁচ বছরের শিশু ডেঙ্গুতে মৃত্যুর পরেই প্রশাসন নড়েচড়ে বসেছিল। একইসঙ্গে পুরসভার ভূমিকা নিয়েও জোরাল প্রশ্ন উঠে গিয়েছিল। তারপর সোনু চৌধুরী নামে আরেক তরুণের মৃত্যুর পর পুরসভার ভূমিকা নিয়ে সার্বিকভাবেই প্রশ্ন উঠে যায়। বুধবারই এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকের পর প্রশাসনের তরফে বিশেষ নজরদারি দল গড়ায় পুরসভার বিরুদ্ধে অভিযোগে কার্যত সিলমোহর পড়ে। কিন্তু তাতে হুগলির একাধিক পুরসভার যে কোনও হেলদোল নেই তা প্রশাসনের পরিদর্শনের প্রথম দিনই নজরে আসে। এদিন তিনটি ওয়ার্ডে পরিদর্শন চলাকালীন প্রশাসনের কর্তাদের কাছে বারবার পুরসভা তরফে বাসিন্দাদের অসঙ্গতি তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে। নিজেদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠা আড়াল করতে এই পালটা অভিযোগের জেরেই ডেঙ্গু পরিস্থিতি মোকাবিলার উদ্যোগের সাফল্য নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে।