কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকারের ইন্টিগ্রেটেড পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট সিস্টেমের মাধ্যমে বিভিন্ন বড় শহরে বিদ্যুতের লাইন মাটির নীচে দিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে ওই প্রকল্পে মধ্যমগ্রাম পুরসভার বিপরীতে রাস্তার ধারে বোরিং মেশিন দিয়ে গর্ত খোঁড়া শুরু করে ঠিকাদার সংস্থা। ঠিক ছিল মাটির ২১ ফুট তলা দিয়ে মেশিন চালিত লোহার দণ্ডটিকে প্রায় ১৯০ মিটার পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া হবে। এর ফলে মধ্যমগ্রাম চৌমাথা সংলগ্ন সুভাষ ময়দানের শেষ প্রান্ত পর্যন্ত মাটির নীচে সুড়ঙ্গ তৈরি হবে। কিন্তু, কাজ চলার সময় লোহার দণ্ডটি চৌমাথা পেরিয়ে পাশের রানি পার্ক এলাকায় ঢুকে যায়। রানি পার্কে ঢোকার মুখে রাস্তার গলিতে জগদীশ ঘোষের একটি গাড়ি দাঁড়িয়েছিল। ওই লোহার দণ্ড জগদীশবাবুর গাড়ির সামনে মাটি ভেদ করে উপরে ওঠে। এরপর গাড়ির চেসিস ফুটো করে পাশের রাহুল চক্রবর্তীর বাড়ির দেওয়াল ফুটো করে দেয়। দেওয়াল ফুটো করার পাশাপাশি ছাদও ফুটো করে উপরে বেরিয়ে যায়। সেই সময় তীব্র কাঁপুনি ও আওয়াজে আচমকা ঘুম থেকে উঠে রাহুলবাবু, তাঁর স্ত্রী ডলিদেবী চরম আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। তাঁদের চিৎকারে আশপাশের বাসিন্দারা দৌড়ে আসেন। এরপর অনেক চেষ্টার পর কাজ করা কর্মীদের বলে মেশিনটি বন্ধ করান।
ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির মালিক রাহুল ও তাঁর স্ত্রী ডলি চক্রবর্তী বলেন, বিছানা থেকে দৌড়ে বেরিয়ে এসে দেখি ডাইনিং স্পেসের কাছে একটি লোহার দণ্ড দেওয়াল ও ছাদ ভেদ করে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। আকস্মিক এই ঘটনা দেখে হতভম্ভ হয়ে পড়ি। আমার আতঙ্কে চিৎকার শুরু করি। পাশের ঘরে ৭৫ বছরের বৃদ্ধা মা ভয়ে কাঁপতে শুরু করেন। তাঁরা বলেন, আমাদের বেডরুম দিয়ে ওই লোহার দণ্ড গেলে আমাদেরও মৃত্যু হতে পারত। গাড়ির মালিক জগদীশ ঘোষ বলেন, কীভাবে এই ঘটনা ঘটতে পারে সেটাই আমি বুঝতে পারছি না। চেয়ারম্যান বলেন, কেন্দ্রীয় সরকারের আইপিডিএস প্রকল্পের মাধ্যমে হাইটেনশন লাইন মাটির নীচ দিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ হচ্ছিল। কিভাবে বোরিং মেশিনের দণ্ড এইভাবে রুট পরিবর্তন করে একটি গাড়ি ভেদ করে বসতবাড়ির মধ্যে ঢুকে গেল সেটাই বোঝা যাচ্ছে না। নিশ্চই টেকনিক্যাল সমস্যার পাশাপাশি নজরদারির সমস্যা ছিল। আমরা এই কাজের দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদার সংস্থার সঙ্গে কথা বলে ক্ষতিগ্রস্তদের যথাযথ ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা বলেছি। ওনারা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।