পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
বিশেষজ্ঞদের মতে, চিংড়িঘাটা উড়ালপুল তৈরির সময়ে নকশায় ত্রুটি ছিল। পলে সেতুটির স্বাস্থ্য ভালো নয় বলেই সমীক্ষক সংস্থা জানিয়েছে। বর্তমানে ওই সেতু দিয়ে ভারী যান চলাচল করা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। গাড়ির গতিও নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা সেতুর স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর জানিয়েছেন, এই উড়ালপুল দীর্ঘদিন রাখা যাবে না। ভেঙে ফেলতে হবে। তাই ঠিক হয়েছে, ইএম বাইপাসের উপরে চিংড়িঘাটা ও মেট্রোপলিটনের মাঝখান থেকে নতুন উড়ালপুলটি উঠে সেক্টর ফাইভ হয়ে নিউটাউন পর্যন্ত যাবে। এর জন্য লার্সেন অ্যান্ড টুব্রো (এলঅ্যান্ডটি)বিস্তারিত প্রকল্প রিপোর্ট (ডিপিআর) তৈরি করছে। সেই ডিপিআর নিয়েই ২৮ তারিখের বৈঠকে আলোচনা হবে। তবে জলাভূমিতে পিলার করা হবে না। তা হলে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হবে বলে এনজিটির অভিমত।
তবে এই প্রস্তাবিত উড়ালপুল তৈরির ক্ষেত্রে জমি নিয়ে অসুবিধা না হলেও সমস্যা হবে মেট্রো রেলের লাইনের জন্য। যেখান দিয়ে উড়ালপুলটি যাবে, তার পাশ দিয়েই বিমানবন্দর-গড়িয়া মেট্রো রেলের লাইন রয়েছে, সেই লাইনকে ঠিক রেখেই উড়ালপুলটি করতে হবে। এর জন্য আগামী ২৮ নভেম্বর বৈঠক করা হবে বলে পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন। তিনি বলেন, আমরা চেয়েছিলাম, ইএম বাইপাসের মাঠপুকুর মোড় থেকে নিউটাউন পর্যন্ত উড়ালপুলটি করতে। ভেড়ির উপরে পিলার করা হলেও পরিবেশের ভারসাম্য বজায় থাকত। কিন্তু অনুমতি যখন পাওয়া গেল না, তখন নতুন করে একটি উড়ালপুল তৈরির পরিকল্পনা করা হয়েছে। এর জন্য মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করেই উড়ালপুলের জায়গা চূড়ান্ত করা হবে। তারপরেই টেন্ডার ডাকা হবে।
প্রসঙ্গত, ইএম বাইপাস থেকে নিউটাউন যেতে হলে বা নিউটাউন থেকে বাইপাসে আসতে হলে তীব্র যানজটের মুখে পড়তে হয়। বিশেষ করে বাইপাসে সুকান্তনগর থেকে নয়াপট্টি পর্যন্ত সকাল-বিকেল গাড়ির জট লেগেই থাকে। অফিসের সময় যানযন্ত্রণায় ভুগতে হয় পথচলতি মানুষকে। নিউটাউন যাওয়ার সুবিধার জন্যই এই উড়ালপুলের ভাবনা। তাছাড়া বিমানবন্দর যাওয়ার ক্ষেত্রেও এই উড়ালপুল বাড়তি সুবিধা দেবে। যাত্রীদের আর সেক্টর ফাইভের গাড়ির জটে পড়তে হবে না।