কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
তবে এদিন মেয়র ৪০ মাইক্রনের নীচে প্লাস্টিক ব্যবহার নিয়ে কড়া মনোভাব প্রকাশ করেন। এদিন তিনি চেতলা বাজার এলাকায় ঘুরে বিভিন্ন ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ৪০ মাইক্রনের নীচে থাকা প্লাস্টিকগুলি নিয়ে নেন। পরে বলেন, আমি বাজারে একটা সচেতনতা শিবির করব। কোনও ব্যবসায়ী ৪০ মাইক্রনের নীচে থাকা প্লাস্টিক ব্যবহার করলে, তাঁর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হবে। আমার মতে, প্লাস্টিক ব্যবহার করাই উচিত নয়। আবর্জনার পাশাপাশি প্লাস্টিকও দূষণের অন্যতম কারণ বলে তিনি মনে করেন।
এদিন মেয়রের সঙ্গে কলকাতা পুরসভার কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের ডিজি শুভাশিস চট্টোপাধ্যায়ও ছিলেন। ফিরহাদসাহেব এদিন চেতলার বেশ কয়েকটি অংশে ঘোরেন। প্রায় সর্বক্ষণই হাতে বেলচা নিয়ে ছিলেন। অলিগলিতে ঢুকে কখনও বেলচা দিয়ে, কখনও হাতে করে আবর্জনা তুললেন। রাস্তায় প্লাস্টিকের উচ্ছিষ্ট বা প্লাস্টিকের বোতল পড়ে থাকতে দেখলেই তিনি তা কুড়িয়ে বস্তায় ভরে রাখেন। মেয়রের এই উদ্যোগ দেখে বাজারের লোকজন উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ বললেন, প্রতিদিন নয়, এলাকার জনপ্রতিনিধিরা যদি ফিরহাদসাহেবের মতো মাসে দুই বা তিনবার বের হন, তাহলে সচেতনতা যেমন বৃদ্ধি পাবে, তেমনই মশাবাহিত রোগমুক্ত পরিবেশ থাকবে।
মেয়র বলেন, আমি চাই, প্রত্যেক কাউন্সিলার নিজ নিজ ওয়ার্ডের পরিবেশ পরিচ্ছন্নতায় আরও বেশি করে সক্রিয় ভূমিকা নিন। আমি সেই বার্তাই বারবার দিচ্ছি। যদি জল না জমে কিংবা আবর্জনা যত্রতত্র না ফেলা হয়, তাহলে ডেঙ্গু বা ম্যালেরিয়ার মতো মশাবাহিত রোগের প্রকোপও কমবে।
পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের শীর্ষকর্তাদের কথায়, জঞ্জালের থেকেও আমাদের চিন্তা জমা জল নিয়ে। পরিত্যক্ত অংশে জল জমে থাকলেই তাতে মশা ডিম পাড়ছে। তাতে স্বাভাবিক নিয়মেই লার্ভা জন্মাচ্ছে। অথচ, বারবার জঞ্জাল পরিষ্কার ও জল জমতে না দেওয়ার বার্তা দেওয়া হলেও নাগরিকদের একাংশ তাতে গুরুত্ব দিচ্ছেন না। অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে ডেঙ্গুর জীবাণুবাহী মশার বাড়বাড়ন্ত হচ্ছে। তাতেই বিপদ বাড়ছে বলে তাঁদের দাবি।