পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
শাসকদল সূত্রে জানা গিয়েছে, কলকাতার ক্ষেত্রে প্রতিটি কাউন্সিলার অথবা যেখানে শাসকদলের কাউন্সিলার নেই, সেখানে ওয়ার্ড সভাপতিদের থেকে তাঁদের নিজ নিজ ওয়ার্ডের বুথপিছু তিনজন করে সক্রিয় কর্মীর তালিকা চাওয়া হচ্ছে আইপ্যাক-এর তরফে। প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা আইপ্যাক-এর তরফ থেকে এই তথ্য জানতে চাওয়া হচ্ছে। আবার জেলা তৃণমূল সভাপতির অফিস থেকেও ফোন করে তিনজনের নাম চাওয়া হচ্ছে। আবার যাদবপুর ও টালিগঞ্জ বিধানসভা যেহেতু দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলার মধ্যেও পড়ছে, সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট জেলা তৃণমূলের সভাপতির অফিস থেকেও বুথকর্মীর নাম চাওয়া হচ্ছে। টালিগঞ্জ ও যাদবপুর এলাকার কাউন্সিলারদের একাংশের কথায়, চরম বিভ্রান্তিতে রয়েছি। কে সত্যিকারের ফোন করছেন, সেটাই তো বুঝতে পারছি না। বিভিন্ন জায়গা থেকে ফোন আসছে এবং ওয়ার্ডপিছু তথ্য দিতে বলা হচ্ছে। মনে অনেক প্রশ্ন থাকলেও, তথ্যগুলি দিয়েও দিচ্ছি। কিন্তু আদৌ সঠিক লোককে দিচ্ছি কি না, তা নিয়ে চিন্তা থেকে যাচ্ছে।
উত্তর কলকাতার মানিকতলা এলাকার এক কাউন্সিলারের কথায়, যাঁর নাম পরিচয় দিয়ে ফোন করা হচ্ছে, তাঁদের প্রত্যেককে যে চিনি, তা নয়। অথচ, বুথপিছু তিনজনের নাম দেওয়ার জন্য বলা হচ্ছে। বুথে বুথে কে আমাদের ঘনিষ্ঠ, তা আমরা কোন ভরসায় ফোনের ওপ্রান্তে থাকা ব্যক্তির হাতে তুলে দেব! আমাদের সেকারণেই রাজ্যের যুব সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিসে ফোন করে যাচাই করতে হচ্ছে, তারপর বুথভিত্তিক তিনজন কর্মীর নাম দিতে হচ্ছে। কিন্তু শুধু নাম দেওয়ার ক্ষেত্রে এখনও পর্যন্ত তেমন অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয়নি। পরবর্তীকালে ওয়ার্ড বা কাউন্সিলারদের কাজকর্মের বিভিন্ন তথ্য চাওয়া হবে বলে দলের তরফে জানানো হয়েছে। সেক্ষেত্রে ফোনের ওপ্রান্তে থাকা ব্যক্তিকে কীভাবে বিশ্বাস করব?
তৃণমূলের কলকাতা দক্ষিণের এক শীর্ষ নেতা বললেন, অভিযোগটি যথার্থ। এভাবে কোনও তথ্য দেওয়া যায় না। অন্তত নির্দিষ্ট একটি সঙ্কেতিক কোড ব্যবহার করলে, কাউন্সিলার বা নেতারাও নিশ্চিত হতে পারেন। পাশাপাশি, তিনি এও বলেন, এখন আমাদের যে মূল প্রতিদ্বন্দ্বী দল, তাদের সাইবার সেলের ক্ষমতা অত্যন্ত বেশি। সেই দলের সাইবার সেলের সঙ্গে যাঁরা যুক্ত রয়েছেন, তাঁদের ভাবনাচিন্তাও অনেক এগিয়ে রয়েছে। কলকাতা পুরভোটের আগে কাউন্সিলার বা ওয়ার্ড তৃণমূলের সভাপতিদের গোপন কাজকর্ম আইপ্যাক বা জেলা তৃণমূলের সভাপতির অফিসের পরিচয় দিয়ে, সহজেই হাতিয়ে নেওয়া সম্ভব। গত লোকসভা নির্বাচনের পর থেকে এমনিতেই দলের পরিস্থিতি আগের মতো নেই। সেখানে গোপন তথ্য বেহাত হলে, আরও বেকায়দায় পড়বে দলীয় নেতৃত্বই।