পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
জেলা প্রশাসন ও রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন কোম্পানির আধিকারিকরা এই সমস্যার কথা স্বীকার করেছেন। জেলা প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, গ্রামীণ এলাকার দ্বীপগুলিতে এখনও কত বিদ্যুতের খুঁটি পড়েছে তার প্রকৃত হিসেব কষা যায়নি। কারণ, দুর্গম ও গাছ পড়ে থাকার কারণে পৌঁছানো যায়নি সেই সব জায়গাতে। ওই কর্তা বলেন, দ্বীপগুলিতে নৌকা করে যেতে হয়। স্বাভাবিকভাবে গাছ সরানো না গেলে খুঁটি নিয়ে যাওয়া যাবে না। ফলে প্রাথমিক একটা হিসেব ধরে কাজে নামতে হয়েছে। দিল্লি থেকে বিপর্যস্ত এলাকা পরিদর্শনে এসেছিল কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল। শুক্রবার নামখানা থেকে ঘুরে পাথরপ্রতিমার রাক্ষসখালি ঘুরে দেখেন তাঁরা। রাস্তার মাঝে অসংখ্য গাছ ও বিদ্যুতের খুঁটি পড়ে থাকায় সব জায়গাতে যেতে পারেননি।
ওই প্রতিনিধিদলের এক সদস্য স্বীকার করেছেন, ভয়াবহ অবস্থা দেখলাম। বিশেষ করে বিদ্যুতের খুঁটি ও গাছ যেভাবে পড়ে রয়েছে, তাতে পাথরপ্রতিমার জি প্লটে যাওয়ার ইচ্ছে থাকলেও যেতে পারিনি। কীভাবে তা সরিয়ে বিদ্যুতের স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসবে তা নিয়েও কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদলের ওই সদস্য উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা বিদ্যুৎ বিভাগের জেনারেল ম্যানেজার ও রাজ্য টাস্ক ফোর্সের সদস্য অনুপ মল্লিক বলেন, ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে আমাদের। সেই কারণে কষ্ট হলেও মানুষকে একটু ধৈর্য ধরতে হবে। আশা করি ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সহযোগিতা পেলে দ্রুত এই সমস্যা কাটিয়ে ওঠা যাবে। ইতিমধ্যে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় দিন-রাত হাজার হাজার লোক নামিয়ে কাজ চলছে। তিনি বলেন, গত ৯ নভেম্বর ঝড়ের তাণ্ডবের পর ১০ তারিখ ময়দানে নেমে প্রাথমিক খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, ক্ষতিগ্রস্ত আটটি ব্লকে ৩৩/১১ কেভি যে সমস্ত সাব স্টেশন থেকে বিদ্যুৎ যায়, তারমধ্যে ২১টি মারাত্মকভাবে অকেজো হয়ে গিয়েছে। পাশাপাশি বিভিন্ন জায়গাতে সংশ্লিষ্ট সাব স্টেশনগুলিতে যে সোর্স থেকে বিদ্যুৎ যায়, সেই সব ৪৪টি গ্রিড সাব স্টেশনের পরিকাঠামো তছনছ করে দিয়েছে বুলবুল। এর বাইরে ২১টি ১১ কেভি সাব স্টেশনের ১৪৭টি ফিডার ব্রেক ডাউন হয়ে যায়। এছাড়াও প্রচুর ট্রান্সফরমার ভেঙে পুকুরে পড়ে রয়েছে। এর বাইরে ২০ হাজারের বেশি পোল পড়ে রয়েছে বলে খবর এসেছে। এখনও তার সঠিক হিসেব হয়নি। কারণ, অনেক জায়গাতে যাওয়া যাচ্ছে না। অনুপবাবু জানান, গত কয়েকদিন ধরে ক্ষতিগ্রস্ত সমস্ত সাব স্টেশন ও ফিডার ঠিক করা হয়েছে। এবার নজর দেওয়া হয়েছে পোল তোলা ও তার লাগানোতে। আমাদের আশা আগামী ২১ নভেম্বরের মধ্যে গোসাবা, পাথরপ্রতিমা ও কুলতলি বাদে বাকি পাঁচটি ব্লক সাগর, কাকদ্বীপ, নামখানা, বাসন্তী, মথুরাপুরের ৯০ শতাংশ জায়গাতে আলো জ্বালিয়ে দেওয়া হবে।