পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
অমিতবাবু বলেন, পূর্ব ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পশ্চিমবঙ্গকে ব্যবহার করতে হয় অন্যান্য দেশকে। নেপাল, ভুটান ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলির সঙ্গে তো বটেই, উত্তর-পূর্ব ভারতের সাতটি রাজ্য ও সিকিমের লজিস্টিকসের ক্ষেত্রেও এ রাজ্যের গুরুত্ব আছে। তাই এখানে লজিস্টিকস শিল্পের বহর বাড়ছে রাজ্যে। এমনকী পরিকাঠামো ক্ষেত্রে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার পাঁচগুণ বরাদ্দ বৃদ্ধি করেছে বলে দাবি করেন অমিতবাবু। তিনি বলেন, যেহেতু ক্রমশ লজিস্টিকসে গুরুত্ব বাড়ছে পশ্চিমবঙ্গের, তাই এখানে বিনিয়োগও বাড়াচ্ছে বেসরকারি সংস্থাগুলি। পাশাপাশি উৎসাহ বাড়ছে বিশ্ব ব্যাঙ্কেরও।
ঠিক কী করতে চলেছে বিশ্ব ব্যাঙ্ক? এদিন অমিতবাবু বলেন, লজিস্টিকস ইনফ্রাস্ট্রাকচারের উপর একটি ধারণামূলক মাস্টার প্ল্যান জমা দিয়েছে তারা। বৃহত্তর কলকাতার জন্য ওই পরিকল্পনা করা হয়েছে। সেই বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের অর্থনীতি সংক্রান্ত বিভাগও ছাড়পত্র দিয়েছে। বিষয়টি চূড়ান্ত করতে আগামী সপ্তাহে বৈঠকে বসবে তারা। যদি সেই প্রকল্প চূড়ান্ত হয়, তাহলে সাহায্য আসতে পারে ৩০ কোটি মার্কিন ডলার। এখানকার রেল, বন্দর, সড়ক পরিবহণ, মেট্রোর পাশাপাশি পণ্য মজুতকরণের ক্ষেত্রে পরিকাঠামো কী করে ঢেলে সাজা যায়, তারই চূড়ান্ত রূপরেখা তৈরি হতে পারে ওই বৈঠকে।
এদিন অমিতবাবু বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার ইস্টার্ন করিডোরে শিল্পের যে পরিকাঠামো আছে, তারও একটি পর্যালোচনা করার উদ্যোগ নিয়েছে বিশ্ব ব্যাঙ্ক। এই করিডোরে কীভাবে লজিস্টিকসের পরিকাঠামো বাড়ানো যায়, কর্মসংস্থান করা যায়, এখানে শিল্পের গা থেকে লাল ফিতের ফাঁস আলগা করার জন্য কী কী পদক্ষেপ করা হয়েছে, বিনিয়োগের ক্ষেত্রেই বা কী কী সুবিধা আছে ওই করিডোরের আশপাশে, তারই নিবিড় বিশ্লেষণ চায় তারা। অমৃতসর থেকে এ রাজ্য পর্যন্ত যে পণ্য চলাচলের করিডোর তৈরি হচ্ছে, এটি তার উপর নির্ভর করেই হবে বলে জানা গিয়েছে। অমিতবাবু বলেন, পাঞ্জাব, হরিয়ানা, দিল্লি, চণ্ডীগড়, উত্তরপ্রদেশ, বিহার, ঝাড়খণ্ড ও অসমকে সঙ্গে নিয়ে ওই পর্যালোচনা করা হলেও, বিশ্ব ব্যাঙ্ক প্রকল্পটি পশ্চিমবঙ্গকে ঘিরেই করতে চায়।