পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
ডায়াবেটিস রোগী হিসেবে নিজেদের চিহ্নিত করার ক্ষেত্রে ওই সমীক্ষায় সবচেয়ে এগিয়ে আছেন দিল্লি ও সংলগ্ন এলাকার মানুষ। মোট ডায়াবেটিস রোগীর ১২.৬ শতাংশ দখল করে আছে ন্যাশনাল ক্যাপিটাল রিজিয়ন। চলতি আর্থিক বছরের হিসেবে সমীক্ষায় এই ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। দেশের বড় শহরগুলির মধ্যে ডায়াবেটিসে দ্বিতীয় স্থানে আছে মুম্বই। এরপর আছে যথাক্রমে চেন্নাই, আমেদাবাদ, বেঙ্গালুরু ও হায়দরাবাদ। এরপরই কলকাতার স্থান। এখানে ডায়াবেটিস রোগীর হার গোটা দেশের মধ্যে ২.৮৮ শতাংশ। অথচ দু’বছর আগেও এই হার ছিল ৪.০৩ শতাংশ। গত আর্থিক বছরে তা খানিকটা কমে দাঁড়িয়েছিল ২.৯৫ শতাংশ। গোটা দেশের নিরিখে ডায়াবেটিস রোগীর হার এক বছরে ৪৪ শতাংশ কমেছে বলে দাবি করেছে ওই সমীক্ষা।
আরও একটি উল্লেখযোগ্য বিষয় ধরা পড়েছে ওই সমীক্ষায়। স্বাস্থ্য বিমা করানোর সময় গ্রাহকদের জমা দেওয়া ফর্মে দেখা যাচ্ছে, পলিসি গ্রাহকের ডায়াবেটিস থাকার প্রবণতা কমছে। ২০১৭-’১৮ অর্থবর্ষে যেখানে ৩৬.৩৪ শতাংশ মানুষ নিজেদের ডায়াবেটিস রোগী হিসেবে ঘোষণা করেছিলেন, সেখানে চলতি আর্থিক বছরে তা কমে ৩৩.২২ শতাংশ হয়েছে। অথচ ফর্মে স্বামী বা স্ত্রীর ডায়াবেটিস রোগের কথা উল্লেখের সময় আবার তার হার বেড়ে গিয়েছে এক বছরের মধ্যেই। গত আর্থিক বছরে যেখানে জীবনসঙ্গীর ডায়াবেটিস রোগের হার ১৩.৯০ শতাংশ ছিল, তা বেড়ে এবার হয়েছে ১৪.৮৫ শতাংশ। একইভাবে পলিসি গ্রাহকের বাবা ও মায়ের ডায়াবেটিসের হার বেড়ে গিয়েছে অনেকটাই। দু’বছর আগে যা ছিল ৪৪.৪১ শতাংশ, তা এখন হয়েছে প্রায় ৪৯ শতাংশ। পুরুষ ও মহিলাদের ক্ষেত্রে সমীক্ষার ফলে দেখা যাচ্ছে, মহিলাদের ডায়াবেটিস বেড়ে গিয়েছে দু’বছরের নিরিখে। ২০১৭-’১৮ আর্থিক বছরে যা ছিল ৪০.১২ শতাংশ, তা এখন বেড়ে হয়েছে ৪৪.০১ শতাংশ। আবার পুরুষের ক্ষেত্রে সেই হার কম। দু’বছর আগে যা ছিল ৫৯.৮৭ শতাংশ, তা এখন কমে হয়েছে ৫৫.৯৮ শতাংশ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই রিপোর্ট থেকে কখনও কোনও এলাকায় ডায়াবেটিস রোগের সম্পূর্ণ অবস্থা জানা যায় না। কিন্তু এই রিপোর্ট রোগীর সংখ্যা সম্পর্কে যে আভাস দিয়েছে, তা গুরুত্বপূর্ণ, জানাচ্ছেন তাঁরা।