পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
ক্ষয়ক্ষতির পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট একত্রিত করে তথ্যও তৈরি করেছে জেলা প্রশাসন। তবে বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক না হওয়ায় হিঙ্গলগঞ্জ ও সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ অংশ এখনও অন্ধকারে ডুবে রয়েছে। এর ফলে পানীয় জলের সমস্যা শুরু হয়েছে। অন্যদিকে, এদিন যুব তৃণমূল প্রতিনিধি দল সন্দেশখালির বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করে দুর্গত মানুষদের হাতে ত্রাণ তুলে দেয়। সব্যসাচী দত্তের নেতৃত্বে বিজেপির প্রতিনিধিদলও দুর্গত এলাকা পরিদর্শন করে। খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, বিদ্যুৎ দপ্তর যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ করছে। দুর্গত এলাকায় জল ও পর্যাপ্ত ত্রাণ সামগ্রী পাঠানো হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক বৈঠকের জন্য প্রশাসন সমস্ত রকম প্রস্তুতি নিয়েছে।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার সকালে মুখ্যমন্ত্রী হেলিকপ্টারে সন্দেশখালি, হিঙ্গলগঞ্জ সহ আশপাশের দুর্গত এলাকা পরিদর্শন করবেন। এরপর সংগ্রামপুর শিবহাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের মেরুদণ্ডি মাঠে মুখ্যমন্ত্রীর হেলিকপ্টার নামবে। মাঠ লাগোয়া কর্মতীর্থে দুপুর ১২টায় তিনি প্রশাসনিক বৈঠক করবেন। মাঠ থেকে কর্মতীর্থে যাওয়ার পথে ইট পেতে রাস্তা নির্মাণ, কর্মতীর্থের ভিতরে সাজসজ্জার কাজও রাতদিন এক করে চালানো হয়েছে। প্রশাসনিক সূত্রের খবর, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিয়ে এখনও বিভিন্ন দপ্তরের রিপোর্টে বিস্তর বিভ্রান্তি রয়েছে। সেই বিভ্রান্তি মেটাতে মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত বৈঠক ও রিপোর্ট তৈরির কাজ হয়।
তবে সন্দেশখালি ও হিঙ্গলগঞ্জের রাস্তার উপর পড়ে থাকা গাছ সোমবার সরিয়ে দেওয়া হলেও বিদ্যুৎ বিভ্রাট এখনও চলছে। প্রচুর পরিমাণে বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে পড়ার কারণে সমস্যা আরও জটিল হয়েছে। বিদ্যুৎ দপ্তর একাধিক ঠিকাদার সংস্থাকে পরিস্থিতি মোকাবিলায় কাজে লাগিয়েছে। বিদ্যুৎ না থাকায় সিংহভাগের মোবাইল বন্ধ গিয়েছে। কিছু জায়গায় জেনারেটর চালিয়ে মোবাইল চার্জের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে সবথেকে বেশি সংকট তৈরি হয়েছে পানীয় জল নিয়ে। তবে বিভিন্ন জায়গায় পঞ্চায়েত সমিতির তরফে জেনারেটর বসিয়ে পাম্পগুলিকে সচল করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। হিঙ্গলগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অর্চনা মৃধা বলেন, জেনারেটর দিয়ে জলের পাম্প চালু রাখা হয়েছে। এছাড়া পাউচ জল মানুষকে সরবরাহ করা হচ্ছে। বিদ্যুৎ সংযোগ স্বাভাবিক করতে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ চলছে।