বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
সব ক’টি রিসর্টেই কম-বেশি বুলবুলের ছোবল লেগেছে। তুমুল ঝড়ে একের পর এক ভেঙে পড়েছে ঘিরে থাকা গাছ-গাছালি। সব থেকে ভয়ঙ্কর অবস্থা জেটিগুলির। প্রায় সবক’টি জেটি ঝড়ে উড়িয়ে নিয়ে গিয়েছে। একটিও আস্ত নেই। যার জেরে আরও সমস্যায় পড়েছেন ওই রিসর্টগুলির মালিকরা। পাশাপাশি, গ্রামের মানুষরাও ওই জেটি ব্যবহার করে নৌকা-ভুটভুটি নিয়ে মাছ ধরতে বের হন। সেগুলি ভেঙে যাওয়ায় গ্রামবাসীরাও সমস্যায়। এখানেই শেষ নয়, রিসর্টগুলিতে জল ঢুকে গিয়েছে। কোনও কোনও রিসর্টের ছাদও ভেঙে পড়েছে গাছের চাপে। রিসর্টের কর্মী গ্রামবাসীরা বললেন, রাত তিনটে থেকে ঝড়ের শোঁ-শোঁ শব্দে জেগে উঠছিলাম সবাই। একটার পর একটা গাছ ভেঙে পড়তে লাগল। বিদ্যুতের খুঁটিগুলো হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ছিল রাস্তায়। টালি-অ্যাসবেস্টসের চালে এসে পড়ছিল ভাঙা গাছের ডাল। অসহায়ের মতো দেখা ছাড়া এ সময় আর কিছুই করার ছিল না! পর্যটন মন্ত্রীর কথায়, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে আগেভাগে সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। শুধু সুন্দরবনেই নয়, দীঘাতেও। তাই পর্যটকদের কোনও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি। তবে ক্ষতি হয়েছে অনেক। জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাশাসক পি উল্গানাথন ওই অঞ্চলের পরিস্থিতি সম্পর্কে রিপোর্ট নিয়েছেন। কথা বলেছেন পর্যটনের সঙ্গে যুক্ত থাকা সবক’টি রিসর্টের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে।
এক রিসর্টের কর্তা উদয়শঙ্কর রায় বলেন, আমার পরিবেশবান্ধব রিসর্ট ছিল। প্রায় সব শেষ। তিন কোটি টাকার মতো ক্ষতি হয়েছে। পর্যটকদের জন্য নতুনভাবে রিসর্ট তৈরি করতে অনেক সময় লাগবে। বুলবুলের থাবায় গোটা টাইগার ক্যাম্পেই বিপর্যয় নেমে এসেছে। অন্য একটি রিসর্টের কর্তা সমরকুমার বিশ্বাস বলেন, আমার রিসর্টের প্রায় দেড় লক্ষ টাকার কাছাকাছি ক্ষতি হয়েছে। জেটি ভেঙে গিয়েছে। গাছ ভেঙে রিসর্টের ঘরগুলির উপরে পড়েছে। তার ছিঁড়ে গিয়েছে। সেগুলি মেরামত করতে সময় লাগবে।